কখনও নিউরো-সার্জেন, কখনও এনআইএ অফিসার, আবার কখনও প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একজন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ছয় মহিলাকে বিয়ে করেছিল কাশ্মীরের বাসিন্দা এক যুবক। প্রতারণার অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন তার কাছে যে সমস্ত ডিগ্রি ছিল, তা সবই হল ভুয়ো। ওড়িশা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের একাধিক নাম রয়েছে। তবে তার আসল নাম হল সায়াদ ইসান বুখারি। এছাড়াও ইশান বুখারি, ডক্টর ইশান বুখারি নামেও নিজের পরিচয় দিতেন।
আরও পড়ুন: ১৮ বছর ধরে চলছিল ক্লিনিক, গুজরাটে গ্রেফতার বাঙালি ভুয়ো ডাক্তার
জানা গিয়েছে, ইশান কাশ্মীরের কুপওয়ারার বাসিন্দা। হামেশাই নিজের পরিচয় পরিবর্তন করার পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন করত। ওড়িশার জয়পুর জেলার নেউলপুর গ্রাম থেকে প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করার পরেই পুলিশ এই তথ্য জানতে পারে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মেয়েদের ফাঁসানোর জন্য নিজের ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন করে ফেলত ওই যুবক। একেবারে নব্বইয়ের দশকে আসা গোবিন্দের সিনেমা ‘রাজা বাবু’-র মতো। বিভিন্ন আবেগের সঙ্গে মানিয়ে নিতেও পারদর্শী। এভাবে অনেক নারীকে ফাঁদে ফেলেছিল। বিভিন্ন রাজ্যের অন্তত ছয়জন নারীকে বিয়ে করেছেন।
এসটিএফের ইনস্পেক্টর জেনারেল (আইজি) জে এন পঙ্কজ জানান, অভিযুক্তের পাকিস্তানের অনেক লোকের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। কেরলের কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গেও তার যোগসূত্র রয়েছে। তবে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তার যোগাযোগের কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। আবার সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। জানা গিয়েছে , নিজেকে ডাক্তার প্রমাণ করার জন্য আমেরিকার অন্যতম শীর্ষ আইভি লিগ কলেজ কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি জাল মেডিক্যাল ডিগ্রি সার্টিফিকেট তৈরি করেছিল। তার কাছে কানাডিয়ান হেলথ সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট এবং তামিলনাড়ুর ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজের জাল সার্টিফিকেট পাওয়া গিয়েছে। মানুষকে বোকা বানিয়ে নতুন পরিচয় তৈরি করত। এর জন্য জাল আন্তর্জাতিক ডিগ্রি, হলফনামা, বন্ড, এটিএম কার্ড, খালি চেক, আধার কার্ড এবং ভিজিটিং কার্ড সঙ্গে রাখত।