ইংরেজিতে দুর্বল হওয়ায় ভালো পরীক্ষা দিতে পারেননি। সেই অবসাদে হস্টেলের ঘরেই আত্মঘাতী হলেন ডাক্তারি পড়ুয়া। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ঘটেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ওই ছাত্রীর নাম রানি মোরে।
আরও পড়ুন: এবার ডাক্তারি পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু খাস কলকাতায়, আরজি কর হাসপাতালে রহস্য
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর বাবা পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি ঘটনায় কারও উপর অভিযোগ তোলেননি। তিনি জানিয়েছেন, ইংরেজিতে ডাক্তারি পড়াশোনা তাঁর মেয়ের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর পরীক্ষাও ভালো হয়নি। সেই কারণে মেয়ে এমন পদক্ষেপ করেছে বলে দাবি বাবার। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশ হল প্রথম রাজ্য যেখানে হিন্দিতে মেডিক্যালের পাঠক্রম চালু হয়েছে ২০২২ সালের অক্টোবরে। অথচ ওই ছাত্রী ভরতি হয়েছিলেন ২০২৩ সালে। তা সত্ত্বেও কেন তিনি ইংরেজি মাধ্যমে পাঠক্রম বেছে নিলেন তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, হস্টেলে তাঁর রুমমেট বাড়ি চলে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে তিনি ঘরে একা ছিলেন। সোমবার সকাল ১০টা বেজে যাওয়ার পরেও রানি ঘর থেকে বের না হওয়ায় ওয়ার্ডেন তাঁর দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে কাঠমিস্ত্রির সাহায্যে দরজা খুলে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতেই তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।