পাহাড়ি এলাকায় ধস একটি বড় সমস্যা। বিশেষ করে বর্ষার সময় পাহাড়ে ব্যাপক ধসের ঘটনা ঘটে। যার ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েন পাহাড়ি এলাকার মানুষ। এছাড়াও রাস্তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। যার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত থমকে যায়। এবার এইসব এলকায় সকালেই ধসের পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। আর এই পূর্বাভাস দেবে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জিএসআই)। বিকেল ৫ টায় ধস নামবে কিনা, তা সকাল ১০ টায় জানিয়ে দেবে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: ওয়েনাড় বিপর্যয়ে ২২৬২ কোটি সাহায্য চেয়েছিল রাজ্য, ৫২৯ কোটি ঋণ দিল মোদী সরকার!
জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রীয় সংস্থার ন্যাচারাল হ্যাজার্ড ম্যানেজমেন্ট শাখা এর জন্য গবেষণা করছে। গবেষণার মূল বিষয় হল পাহাড়ে ধস। এর ফলে ধসপ্রবণ রাজ্যের মানুষ এই সম্পর্কিত বুলেটিন পাবেন। এর জন্য ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই উদ্দেশ্যে প্রতিটি ধস প্রবণ এলাকায় আলাদা করে ইন্টারনেট অফ থিংস বেসড সেন্সর লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আইটি মান্ডি থেকে শুরু করে কেরলের অমৃতা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই কাজ শেষ হলেই ২০৩০ সালের মধ্যে ধসপ্রবণ এলাকার বাসিন্দারা ধসের পূর্বাভাস পাবেন বলে জানিয়েছেন জিএসআইয়ের ডিরেক্টর অসিত সাহা। এর ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে জানা গিয়েছে।
ধস নিয়ে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার পাশাপাশি রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটিও গবেষণা করছে। এর আগে ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ন্যাশনাল ল্যান্ড স্লাইড ফোরকাস্টিং সেন্টার চালু করেছে জিএসআই। মূলত বর্ষার সময় ধস নামবে কিনা, তা জানিয়ে থাকে। ধস সম্পর্কিত বুলেটিন দিয়ে থাকে এই সেন্টার। বর্তমানে ১১টি রাজ্যের ১৬টি জেলায় ধসের বুলেটিন দিয়ে থাকে এই সেন্টারগুলি। তবে তা জানানো হয় রিজিওনাল স্কেলে অর্থাৎ জেলাস্তরে প্রশাসনকে জানানো হয়। মাত্র তিন রাজ্যের জন্য অপারেশনাল বুলেটিন দেওয়া হয়।
তবে জিএসআইয়ের এই উদ্যোগের ফলে সব ধসপ্রবণ এলাকাতেই তা জানা হবে। এর ফলে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি রক্ষা সম্ভব হবে। দার্জিলিং, কালিম্পং বা অন্যান্য ধস প্রবণ পাহাড়ি এলাকায় ধসের সঠিক পূর্বাভাস পাওয়া যাবে।