২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই জাস্টিন ট্রুডো তাঁর দলকে ক্রমশ বামপন্থার দিকে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিগত দিনগুলিতে তিনি আবার ভারতের সঙ্গে কানাডার দ্বন্দ্ব বাঁধিয়েছিলেন। খলিস্তান নিজ্জর হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত এবং কানাডার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বিগত কয়েক মাসে। কানাডার বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছিলেন, খলিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে নাকি ভারতীয় যোগ আছে। (আরও পড়ুন: আরও কাছাকাছি ঢাকা-ইসলামাবাদ? বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা পাক উপপ্রধানমন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনায় অভ্যুত্থানের জল্পনার মাঝেই মুখ খুললেন ভারতের সেনাপ্রধান, বললেন...
তবে কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্প্রতি দাবি করেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করবেন। তিনি বলেছিলেন, 'সমমনা দেশগুলির সাথে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্কের বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করব। এবং ভারতের সাথে সম্পর্ক পুনর্গঠনেরও সুযোগ রয়েছে।' উল্লেখ্য, কানাডার লিবারেল পার্টির প্রধান হওয়ার দৌড়ে জিতে এবার সেই মার্ক প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। এই আবহে ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক ভালো হতে পারে কি না, সেদিকে থাকবে নজর। (আরও পড়ুন: কানাডার নয়া প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এক 'রাজনৈতিক বহিরাগত', কে এই মার্ক কার্নি?)
আরও পড়ুন: ‘গত ২৪ ঘণ্টায়…’, ললিত মোদীর পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, লিবারেল পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়েছিলেন। মোট ভোটের প্রায় ৮৫.৯ শতাংশ এটা। মার্ক কার্নি তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে কানাডাকে 'শক্তিশালী' বলে বর্ণনা করেন। তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জঁ ক্রেতিয়েনের বক্তৃতার উল্লেখ করে বলেন যে তিনি তাঁর পরিবারকে উদারপন্থী লিবারেল হতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। কার্নি যোগ করেন যে তাঁর বাবা ১৯৮০-এর দশকে আলবার্টায় লিবারেল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'আপনি (ক্রেতিয়েন) বছরের পর বছর ধরে আমাকে আর্থিক দায়বদ্ধতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের ঐতিহ্যে অনুপ্রাণিত করেছেন।' তিনি দাবি করেন, তাঁর নতুন সরকার একটি শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য একটি নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করবে।
এদিকে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির বিষয়ে কার্নি বলেন, 'আমরা তাঁকে (ট্রাম্প) সফল হতে দিতে পারি না এবং করবও না।' তিনি আরও বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র যতক্ষণ না মুক্ত ও ন্যায্য বাণিজ্যের বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য প্রতিশ্রুতি দিতে পারছে, যতক্ষণ না তারা কানাডার সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাল্টা ব্যবস্থা (শুল্ক) বহাল থাকবে।' তাঁর কথায়, 'আমেরিকা কানাডা নয়। কানাডা কোনোভাবেই আমেরিকার অংশ হবে না।'