অভিনেত্রী সৎ মেয়ে রানিয়া রাও সোনা পাচারকাণ্ডে ধরা পড়েছেন। তাঁরই নাম নিয়ে বিমানবন্দর দিয়ে এতদিন ধরে অনয়াসে পাচার করা সোনা নিয়ে বেরিয়ে যেতেন রানিয়া। সৎ মেয়ের গ্রেফতারিতে দুঃখ প্রকাশ করলেন এহেন আইপিএস অফিসার রামচন্দ্র রাও। বর্তমানে রামচন্দ্র ডিজিপি (কর্ণাটক স্টেট পুলিশ হাউজিং কর্পোরেশন) হিসেবে কর্মরত আছেন কর্ণাটক পুলিশে। মেয়ের গ্রেফতারে মর্মাহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, 'আমার ক্যারিয়ারে একটাও কোনও কালো দাগ নেই। আইন আইনের পথে চলবে।' (আরও পড়ুন: বাজেয়াপ্ত টাকার পাহাড়, ১২ কোটির সোনা পাচার করে অভিনেত্রীর পকেটে ঢুকত কত?)
আরও পড়ুন: 'স্বামী ইন্টারেস্ট পাবে কেন?' সিঁদুর-মঙ্গলসূত্র না পরায় মহিলাকে প্রশ্ন বিচারকের
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিনের লিভ-ইন সম্পর্কে ধর্ষণের অভিযোগ করা যাবে না? যা বলল সুপ্রিম কোর্ট
বার্তাসংস্থা এএনআইকে আইপিএস রামচন্দ্র রাও বলেন, 'এই ঘটনাটি যখন মিডিয়ার মাধ্যমে আমি জানতে পারি, তখন আমি অবাক ও মর্মাহত হয়েছিলাম। আমি এসবের কোনও কথাই জানতাম না এবং অন্য যেকোনও বাবার মতো আমিও অবাক হয়েছি। সে আমাদের সাথে থাকে না, সে তার স্বামীর সাথে আলাদা থাকে। পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে তাদের মধ্যে কিছু সমস্যা থাকতে পারে। যাই হোক, আইন নিজের কাজ করবে, আমার কর্মজীবনে কোনও কলঙ্ক নেই। আমি আর কিছু বলতে চাই না।' (আরও পড়ুন: 'অনিয়ম হয়েছে', সরকারি কর্মীদের মাথায় হাত, কড়া পদক্ষেপ, জারি হল বিজ্ঞপ্তি)
আরও পড়ুন: বছর ১৪-র কিশোরীকে গণধর্ষণ,অ্যাসিড দিয়ে 'ওম ট্যাটু' করিয়ে মাংস খাওয়াল সলমন-রশিদরা
জানা গিয়েছে, গত ১ বছরে রানিয়া ৩০ বার দুবাই গিয়েছেন। তাঁর এত ঘনঘন দুবাই ভ্রমণের জেরে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স বা ডিআরআই-এর সন্দেহ হয়। 'মাণিক্য' (২০১৪) সিনেমাতে কন্নড় সুপারস্টার সুদীপের বিপরীতে অভিনয় করার জন্য পরিচিত রানিয়া রাও। এছাড়া আরও কয়েকটি দক্ষিণী চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। যার মধ্যে ১০১৬ সালে তামিল সিনেমা 'ওয়াঘা' এবং ২০১৭ সালের কন্নড় সিনেমা 'পটাকি' আছে। (আরও পড়ুন: আকাশ থেকে বাড়ির চাল ফুঁড়ে পড়ল অস্বাভাবিক ঘন বস্তু, রহস্যভেদে শুরু গবেষণা)
আরও পড়ুন: মাথায় হাত বাংলাদেশের, খিদের জ্বালায় কুঁকড়ে যাবে রোহিঙ্গারা
রিপোর্ট অনুযায়ী, দুবাই থেকে ফিরতি পথে বিমানবন্দরে বিনা চেকিংয়েই বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করছিলেন রানিয়া রাও। সেই সময় ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট পুলিশ স্টেশনের এক কনস্টেবল তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তবে ডিআরআই গোয়েন্দাদের কাছে রানিয়াকে নিয়ে আগের থেকেই খবর ছিল। এই আবহে তাঁকে ধরে ফেলেন গোয়েন্দারা। রানিয়া নাকি এই সোনা তাঁর পোশাকের পাশাপাশি শরীরেও লুকিয়ে রেখেছিলেন। পরে রানিয়ার বেঙ্গালুরুর বাড়িতেও ডিআরআই তদন্তকারীরা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন। (আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পালটা শুল্ক জুজুতে শঙ্কিত নয় ভারত, 'অন্য ছক' কষার চেষ্টা চলছে)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের 'হাতকড়া পরাতে' চলেছেন ট্রাম্প, বৈঠক হল ঢাকায়
উল্লেখ্য, রানিয়া রাও নাকি তাঁর স্বামীর সঙ্গে প্রায়ই দুবাইতে যেতেন। যদিও দুবাইতে রানিয়ার কোনও পরিবারের সদস্য থাকেন না। রানিয়ার কোনও ব্যবসাও সেখানে নেই। এই আবহে গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়েছিল। এর আগেও নাকি দুবাই থেকে ফিরে পুলিশ এসকর্ট নিয়ে বিনা বাধায় বিমাবন্দর থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন রানিয়া। এই আবহে রানিয়া একাই এই সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত নাকি এর নেপথ্যে আরও কেউ আছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। যদিও গোয়েন্দারা রানিয়াকে আদালতে পেশ করে তাঁকে হেফাজতে চাননি। এদিকে গ্রেফতারির পরে রানিয়া দাবি করেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেইল করে সোনা পাচার করতে বাধ্য করা হয়েছে। এই নিয়ে তদন্ত করবেন গোয়েন্দারা। এদিকে এই সোনা কেনার অর্থের উৎস কী, তা নিয়েও তদন্ত শুরু হবে। এই আবহে ইডি তদন্তে নামতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।