বিষ মিশিয়ে জল পাঠাচ্ছিল হরিয়ানা? এমনটাই অভিযোগ করেছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্য়ন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এনিয়ে শোরগোল একেবারে চরমে উঠেছে। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেজরিওয়ালকে একহাত নিয়েছেন তিনি।
এদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই বিষ জল দাবিকে কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্য়মন্ত্রী।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই দাবিকে ঘিরে কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী?
বুধবার দিল্লির একটি সভায় উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'হরিয়ানার মানুষের উপর ভিত্তিহীন অভিযোগ আরোপ করেছেন দিল্লির প্রাক্তন সিএম।…হরিয়ানার মানুষ কি দিল্লির থেকে আলাদা? হরিয়ানা যারা বাস করেন তাদের আত্মীয়রা কি দিল্লিতে থাকেন না? '
'যেখানে তাদের নিজেদের লোকেরা থাকেন সেখানকার জলে কি বিষ মেশাতে যাবে হরিয়ানা? হরিয়ানা যে জল পাঠাচ্ছে সেটা তো দিল্লির সবাই খান। ১১ বছর ধরে ওই জল প্রধানমন্ত্রীও খান।' জানিয়েছেন মোদী।
মোদী বলেন, 'সমস্ত জনপ্রতিনিধিও এটাই খান। কেউ এটা কি ভাবতে পারেন মোদীকে বিষ দেওয়ার জন্য হরিয়ানার বিজেপি বিষ জল পাঠাচ্ছিল? এখানকার জনপ্রতিনিধিদের বিষ জল পাঠাচ্ছিল বিজেপিরই হরিয়ানা সরকার? কী বলতে চান? ভুল মাফ করা ভারতীয়দের উদার চরিত্র। কিন্তু জেনে বুঝে পাপ করে যারা তাদের মাফ করে না দিল্লি, মাফ করে না গোটা দেশ। '
মোদী বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে এই ধরনের কথা বলার জন্য দিল্লি এবার জোর শিক্ষা দেবে। মোদী বলেন, আপ দা দিল্লিকে জল মাফিয়ার হাতে তুলে দিয়েছে। তারা যমুনাকে পরিষ্কার করা হবে বলে ভোট চায়। কিন্তু তাদের মধ্য়ে সততার অভাব রয়েছে’।
এবার জেনে নিন কী বলেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল?
কেজরিওয়াল বলেছিলেন, দিল্লিতে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশ থেকে পানীয় জল আসে। হরিয়ানা থেকে যমুনা পথে পানীয় জল আসে। বিজেপির হরিয়ানা সরকার দিল্লিতে আসা যমুনার জলে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। এটা জল বোর্ডের ইঞ্জিনিয়াররা ধরে ফেলেছেন। বর্ডারেই আটকে দিয়েছেন। ভেতরে আসতে দেননি। এটা যদি দিল্লিতে চলে আসত আর পানীয় জলে মিশে যেত তবে না জানি কত মানুষের মৃত্যু হয়ে যেত। গণহত্যা হয়ে যেত। ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টেও পরিস্কার করা যেত না। সেকারণেই জলের অভাব হচ্ছিল। এই ধরনের রাজনীতি ঠিক নয়। দু দেশের যুদ্ধের মধ্যে এসব হয়। দিল্লিতে যে জল আসছিল তাতে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল, আর পুরো দায় পড়ে যেত আপের উপর।
সেই সঙ্গেই তিনি বলেছিলেন, যতদিন কেজরিওয়াল রয়েছেন, ততদিন দিল্লির মানুষের কোনও ক্ষতি হতে দেব না। সেই সঙ্গেই তিনি জল নিগমের আধিকারিকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন বিষয়টি আঁচ করেই সীমান্তেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেজরিওয়াল বলেন, যদি এই জল চলে আসত দিল্লিতে আর পানীয় জলের সঙ্গে মিশে যেত তবে জানি না দিল্লির কতজন মারা যেতেন। এটা একেবারে গণহত্য়ার মতো হয়ে যেত। তিনি বলেন, এটা এমন একটা বিষ যে দিল্লির ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টও সেটা পরিস্কার করতে পারত না।