ভারত সম্ভবত মার্কিন পণ্যে শুল্কের পরিমাণ হ্রাস করবে। এভাবেই আশাপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাণিজ্য প্রসঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাঁর দাবি, মার্কিন পণ্যে ভারত চড়া হারে শুল্ক নিয়ে থাকে। সেই কারণে ভারতের বাজারে ভাল করে বাণিজ্য করতে পারে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন। তারপরেও ছবিটা বদলায়নি। ২ এপ্রিল থেকে ভারতের উপর পাল্টা শুল্ক চাপাতে চলেছেন ট্রাম্প। তার আগে ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল অন্য সুর।
ব্রেইটবার্ট নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি ভারত সম্ভবত মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে চলেছে। কিন্তু ২ এপ্রিল থেকে আমরা ভারতের কাছ থেকে একই শুল্ক নেব, যা তারা আমাদের কাছ থেকে নেয়।' গত মঙ্গলবারই ভারত সরকারের সংসদীয় প্যানেল বলেছে, ‘এখনও পর্যন্ত এই মর্মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।’ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নয়াদিল্লি আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময় নিয়েছে। বার বার ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ইস্যু উত্থাপন করছে তা নিয়ে যথাসময়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, এই সংসদীয় প্যানেল অধ্যক্ষের দ্বারা নির্বাচিত সাংসদদের নিয়ে তৈরি হয়। বিভিন্ন ইস্যু বিবেচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সাধারণত এই ধরনের প্যানেল তৈরি করা হয়।
ভারতের বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়াল বলেন, ‘দুই দেশের স্বার্থে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের। অবিলম্বে শুল্ক বোঝাপড়ার সিদ্ধান্তের তুলনায় দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য চুক্তির স্বার্থে বেশি মনোযোগ দেবে ভারত।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুই দেশের স্বার্থে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের। অবিলম্বে শুল্ক বোঝাপড়ার সিদ্ধান্তের তুলনায় দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য চুক্তির স্বার্থে বেশি মনোযোগ দেবে ভারত।’ কারণ সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি করেছিলেন, ‘ভারত তাদের শুল্ক অনেকটাই কমিয়ে দিতে রাজি হয়েছে। ওরা আমাদের উপর বিপুল পরিমাণ শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে। এত চড়া শুল্কের হারের জেরে ওখানে আমাদের ব্যবসা খুবই কম। মার্কিন পণ্য প্রায় নিষিদ্ধ করার মতো পরিস্থিতি ওখানে। তবে এটা নিয়ে হইচই হওয়ার পর এখন ওরা শুল্ক অনেকটাই কমাতে রাজি হয়েছে।’