বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আরও বেশি স্বায়াত্ত্ব দিয়ে শিক্ষক নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের আরও বেশি ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়ার বার্তা ইউজিসির রেগুলেশন ২০২৫-এর খসড়ায়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সদ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলছেন, এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের সপক্ষে বার্তা দিচ্ছে এই খসড়া।
ইউজিসির রেগুলেশনের খসড়া নিয়ে সংসদে এক প্রশ্ন যায় কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে। সেখানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ইউজিসির বিধি নিয়ে চর্চা হয়। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, বিধানগুলির লক্ষ্য উচ্চ শিক্ষায় উদ্ভাবন, অন্তর্ভুক্তি, নমনীয়তা এবং গতিশীলতা বৃদ্ধি করা। এছাড়াও তিনি বলেন, শিক্ষকদের ক্ষমতায়ন, শিক্ষাগত মানকে শক্তিশালী করতে এবং জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) ২০২০ এর সাথে সামঞ্জস্য রাখতে এই খসড়ার বিধানগুলি তৈরি হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন,' খসড়া ইউজিসি রেগুলেশন, ২০২৫ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আরও স্বায়ত্তশাসন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রদান করে। খসড়ার বিধানগুলি, শিক্ষক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আরও ক্ষমতা প্রদান করে.... এটি রাজ্য সরকারগুলিকে রাজ্যসরকারি কলেজে শিক্ষক বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেয়।'
( China on Arunachal Map:ঝোপ বুঝে কোপ চিনের! বাংলাদেশের পাঠ্যবইতে অরুণাচল,আকসাই চিনের ম্যাপ নিয়ে আপত্তি বেজিংয়ের-Report)
( Pakrisha pe chanrcha 2025: ‘নিজেকে চ্যালেঞ্জ করো, কিন্তু টেনশন করোনা’, পরীক্ষা পে চর্চা ২০২৫-এ পড়ুয়াদের টিপস মোদীর)
( Dhanmandi 32:ধানমান্ডি ৩২ থেকে হাড়গোড় উদ্ধার, দাবি পুলিশের! বলছে রিপোর্ট, মুজিবের বাড়ি ঘিরে তুঙ্গে চাঞ্চল্য বাংলাদেশে)
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন,'বিকশিত ভারত ২০৪৭'র সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রের মান বাড়ানোর, গবেষণা ক্ষেত্রের মান বাড়ানো ইউজিসির খসড়ার উদ্দেশ্য।কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া এমন সময়ে এসেছিল যখন ইউজিসি তার খসড়া বিধানের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া পাওয়ার তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছিল যা বিভিন্ন বিরোধী দল এবং তাদের নেতাদের তরফে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। কর্ণাটক, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কেরালা, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানা- ইউজিসির খসড়া বিধান প্রত্যাখ্যান করে একটি ১৫-দফা প্রস্তাব পাস করে। তাদের দাবি ছিল, কেন্দ্র রাজ্যগুলির ক্ষমতা খর্ব করছে। খসড়া নীতির ক্ষেত্রে উপাচার্য নিয়োগের জন্য তিন সদস্যের অনুসন্ধান-এবং-নির্বাচন কমিটি গঠনের ক্ষমতা চ্যান্সেলর বা ভিজিটারদের দেওয়া হয়েছে। ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন,' নিয়োগ এবং প্রমোশনের জন্য যো যোগ্যতার জায়গা রয়েছে, তাও সরলীকরণ ও প্রসার করা হয়েছে।' এক্ষেত্রে 'অ্যাকাডেমিক পারফরম্যান্স ইনডেক্স' র প্রসঙ্গও আসে ধর্মেন্দ্র প্রধানের বার্তায়।