ফের উত্তপ্ত মণিপুর। কুকি অধ্যুষিত চুরাচাঁদপুরে মার উপজাতির নেতাকে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে নামেন মার উপজাতির অনেকে। এই বিক্ষোভ ঘিরে পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়। গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করেছে কর্তপক্ষ।
গোটা ঘটনার সূত্রপাত গাড়ির ধাক্কা ঘিরে। অভিযোগ, রিচার্ডের গাড়িতে গিয়ে ধাক্কা মেরেছিল দু’চাকার গাড়ি। তারপরই রাস্তায় দুইপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। সেই থেকেই পরিস্থিতি উত্তেজিত হতে থাকে। রবিবার সন্ধ্যায় জেনহাং লামকার ভিকে মন্টেসরি কমপ্লেক্সের ভিতর মারদের সংগঠন ‘মার ইনপুই’য়ের সাধারণ সম্পাদক রিচার্ডের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। জানা যাচ্ছে, বিবাদ বাড়তে শুরু করার পরই এই ঘটনা ঘটে যায়। 'মার ইনপুই' সংগঠনের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,' বাড়ি ফেরার পথে একদল লোক মার ইনপুইর সাধারণ সম্পাদককে ধরে, চোখ বেঁধে এবং অবিরাম মারধর করে জেনহাং লামকার ভিকে মন্টেসরি স্কুলের ক্যাম্পাসে। তিনি নিজের নিজের পরিচয় প্রকাশ করার পরেও মারধর চলে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং আঘাতের কারণে সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসাধীন রয়েছেন।' বিবৃতিতে সাফ বলা হয়েছে, যে কেউই এই মারধরের নেপথ্যে থাকুক না কেন, সে যেন সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে মার ইনপু-র অফিসে আসে। এরপর ডেডলাইন শেষ হয়ে যায়। আর তা হতেই চুরচাঁদপুরে তুমুল বিক্ষোভ দেখা যায়। মার জনজাতির শতাধিক বিক্ষোভকারী রাস্তায় এসে বিক্ষোভ দেখান বলে খবর। এদিকে, মার ইনপুই বনধের ডাক দিতেই এলাকায় জারি হয়েছে কার্ফু।
পরিস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে আশঙ্কা করে প্রশাসন। আর এলাকায় শান্তি বজায় রাখতেই প্রশাসনের তরফে, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বাহিনীকে পরিস্থিতি ঘিরে নিয়ন্ত্রণ রাখার কথা বলা হয়েছে। এই আইনের আওতায় ৫ বা তার বেশি জনের অবৈধ জমায়েত বা মিছিল নিষিদ্ধ রয়েছে। এছাড়াও অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার হতে পারে এমন কিছু বা অস্ত্র নিয়ে চলাচল করাও নিষিদ্ধ রয়েছে।