হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুর জন্যে পাঁচতারা হোটেল থেকে আনানো শিঙাড়া চুরি হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল সিআইডি। আর সেই তদন্তে উঠে আসে, পাঁচ পুলিশকর্মী নাকি মুখ্যমন্ত্রীর জন্যে আনানো সেই শিঙাড়া খেয়ে নিয়েছেন। এই আবহে সেই পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে 'সরকার বিরোধী কার্যকলাপ'-এর অভিযোগ এনে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, অসুস্থতার কারণে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু শিঙাড়া খেতেও পারেন না। এই আবহে শিঙাড়া চুরির মতো ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় শাসক কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি। এক প্লেট শিঙাড়া নিয়ে তাই এখন গরম হিমাচলের রাজনৈতিক পরিসর। (আরও পড়ুন: ডিএ বাড়াচ্ছে না রাজ্য, এবার সরকারের 'চোখে চোখ রাখার' সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের)
আরও পড়ুন: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কি সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান? কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মাসের শেষে সিমলায় হিমাচলপ্রদেশের সিআইডি’র সাইবার সেলের উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু। সেখানেই অফিসে পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেই বৈঠকের সময় চায়ের সঙ্গে কেক এবং শিঙাড়া দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো পাঁচতারা হোটেল থেকে শিঙাড়া অর্ডার দিয়ে আনানো হয়েছিল। অনুষ্ঠানের দিন বাহিনীর আইজি পদমর্যাদার এক অফিসার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য র্যাডিসন হোটেল থেকে শিঙাড়া ও কেক আনতে পাঠানো হয়েছিল। তবে দেখা যায়, চায়ের সাথে শিঙাড়া পরিবেশন করা হয়নি। এই আবহে শিঙাড়ার খোঁজে হিচামলের সিআইডি তদন্ত শুরু করে। জানা যায়, পাঁচ পুলিশকর্মী মিলে সেই সব শিঙাড়া খেয়ে ফেলেছিল। এই আবহে পুলিশকর্মীদের সেই কাণ্ডকে সরকার ও বাহিনী বিরোধী কাজ বলে উল্লেখ করে কারণ দর্শানোর নোটিশ ধরানো হয়েছে অভিযুক্ত পাঁচজনকে। (আরও পড়ুন: আমেরিকায় ট্রাম্পের জয় নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন পুতিন, কী বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট?)
আরও পড়ুন: সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরের জন্য নয়া নীতি আনছে রাজ্য, জানালেন বাংলার IT মন্ত্রী বাবুল
এদিকে এদিকে, বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সরব হয়েছে। আর রাজনৈতিক ধড় উঠতেই তৎপর হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অফিস। বিজেপির বক্তব্য, রাজ্য প্রশাসন জনসাধারণের সমস্যার সমাধান করার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আনা শিঙাড়া, কেক কোথায় গেল তা খুঁজতে বেশি ব্যস্ত। রাজ্যের অসংখ্য অপরাধের কিনারা করতে পারেনি সিআইডি। তাদের সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। পরে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, সুখুর খাবারের তালিকায় কেক, সিঙ্গারা ছিল না। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি তেলেভাজা এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খাচ্ছেন না। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সেই খাবার অর্ডার করা হলে সেই দায় বাহিনীর, মুখ্যমন্ত্রীর নয়।