দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে কার্যত সাড়াশব্দ নেই। তবে এবার আম আদমি পার্টি প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিয়ে জোর গুঞ্জন লুটিয়েন্স দিল্লিতে। বুধবারই লুধিয়ানা পশ্চিম কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে সঞ্জীব অরোরার নাম ঘোষণা করল আম আদমি পার্টি। তিনি বর্তমানে আপের রাজ্যসভার সাংসদ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, সঞ্জীবের শূন্যস্থানে রাজ্যসভার ঘুরপথে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে সংসদে ফেরাতে চাইছে দল।
আসলে ওই আসনে লুধিয়ানা পশ্চিম কেন্দ্রে এতদিন বিধায়ক ছিলেন আম আদমি পার্টিরই গুরপ্রীত গোগি। গত মাসে মারা গিয়েছেন তিনি। তাই সেই আসনে সঞ্জীবকে প্রার্থী করা হয়েছে। আর এই ঘোষণা হতেই আপ প্রধানের সংসদে প্রবেশের জল্পনা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, আপ প্রধানকে রাজ্যসভায় পাঠানোর জন্য পথ সাফ করতেই এই আসনে সঞ্জীবকে প্রার্থী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে ৪০০০ চাকরি 'খাবে' AI… ২০২৫ সালে এই পরিবর্তনের 'আর্থিক প্রভাব' হবে $৭৪৫ মিলিয়ন
জল্পনার মাঝেই এবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রসঙ্গে মুখ খুলল আপ। পাঞ্জাবে আপের মুখপাত্র জগতর সিং সঙ্ঘেরা বলেন, ‘সঞ্জীব লুধিয়ানার বাসিন্দা। তাই তাঁকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হচ্ছে। তাঁর ফাঁকা জায়গায় কে প্রার্থী হবেন, তা দল ঠিক করবে। আপ প্রধানকে রাজ্যসভায় পাঠানোর খবরটি গুজব। বিরোধী দলগুলি গুজব ছড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে দলে কোনও আলোচনা হয়নি।’ আপ মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা কক্করও কেজরিওয়ালের সংসদে প্রবেশের সম্ভাব্য গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কানাডার 'চোখ' বন্ধ করতে চায় USA! নিজ্জরকাণ্ডে এই 'দৃষ্টিই ছিল ট্রুডোর হাতিয়ার'
অন্যদিকে এক্স পোস্টে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য প্রশ্ন তুলেছেন, 'নয়া দিল্লিতে আসন হারানো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাঞ্জাব থেকে রাজ্যসভায় মনোনীত হওয়ার পথ পরিষ্কার করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে? কেজরিওয়ালের পরিবর্তে পাঞ্জাবের কেউ যদি রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করতেন, তাহলে কি ভাল হতো না?' এদিকে, বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র জয়বীর শেরগিলও লুধিয়ানা পশ্চিম উপনির্বাচনে সঞ্জীব অরোরাকে প্রার্থী করায়, আপের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘কেজরিওয়াল রাজ্যসভায় প্রবেশ করতে চান? কেজরিওয়াল দিল্লিতে সরকারি বাসস্থান চান?’ এই মুহূর্তে রাজ্যসভায় আপের ১০ জন সাংসদ রয়েছেন। যার মধ্যে সাত জনই পঞ্জাব থেকে। দিল্লি থেকে আপের রাজ্যসভায় সদস্যসংখ্যা মাত্র তিন। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে দিল্লি বা পাঞ্জাবে রাজ্যসভা নির্বাচন নেই। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে রাজ্যসভায় জিতিয়ে নিয়ে আসতে গেলে কোনও একজন আপের সাংসদকে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ইস্তফা দিতে হবে। বিরোধীদের দাবি, সঞ্জীবকে রাজ্যসভা থেকে সরতে বাধ্য করা হয়েছে।