বিজেপি কোনও ভোট জেতার মেশিন নয়। বরং প্রতিনিয়ত এবং বিরামহীন প্রচার করেই তারা নির্বাচনে জয়লাভ করে। আঞ্চলিক দলগুলি যে ভুয়ো ধর্মনিরপেক্ষতার মাস্ক পরে আছে তা এবার খুলে গিয়েছে। দেশের সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এভাবেই বিজেপির ৪১তম প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের সাফল্যকে ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন যারা তাঁদের দলের ঘোর বিরোধী, তাদেরও সম্মান করে বিজেপি। তবে তুলে আনলেন কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার কথাও।বিজেপি সম্পর্কে মানুষকে ভুল বোঝানো হয় বলে এদিন অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কখনও বলা হয় সংবিধান বদলে দেওয়া হবে, কখনও বলা হয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। কখনও বা কৃষকদের জমি কেড়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়। আসলে কিছু মানুষ হার সহ্য করতে পারেন না বলেই এসব রটাতে থাকেন। যাঁরা বলছেন বিজেপির কাছে নির্বাচন জেতার মেশিন আছে তাঁরা আসলে ভারতীয় ভোটারদের মন বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর বিজেপি প্রতিনিয়ত প্রচার করে মানুষের হৃদয় জিতে নিয়েছে। কিছু লোকের বিজেপির সঙ্গে শত্রুতা রয়েছে, তাই এমন করেন।’ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য বহু দলই ভেঙে যায়। কিন্তু বিজেপিতে কখনও এমন হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাসের সঙ্গে মানুষের সেবা করি। সরকারে থাকলেও করি না থাকলেও করি। আমরা মানুষের সঙ্গে থাকি। দল জিতলে আমরা তা নিজেদের গর্ব বলে মনে করি না। দেশের মানুষের গর্ব বলে মনে করি। অথচ বিভিন্ন রাজ্যে আমাদের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়, তাদের পরিবারের উপরে হামলা হয়। কিন্তু তবুও অটল থাকাই আমাদের কর্মীদের বৈশিষ্ট্য।’ উল্লেখ্য, এখন দুই রাজ্যেই ভোট চলছে। কেরলের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ভোটে জিততে বিজেপি মরিয়া, তা যেন আর একবার পরিষ্কার হয়ে গেল প্রতিষ্ঠা দিবসের বক্তৃতাতে।এদিন তিনি আরও জানান, বিজেপি কখনও কিছু ছিনিয়ে নেয় না। তিনি মনে করিয়ে দেন, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী একটি মাত্র ভোটের ব্যবধানে সরকারের পতনকে মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও সমঝোতা করেননি। আমাদের কর্মী–সমর্থকরা জরুরি অবস্থার সময় অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন।