স্ত্রী লিপসি মিত্তলকে হত্যার অভিযোগে আম আদমি পার্টির নেতা ও ব্যবসায়ী আনোখ মিত্তল, তাঁর বান্ধবী এবং চার কন্ট্রাক্ট কিলারকে গ্রেফতার করেছে পঞ্জাব পুলিশ। উল্লেখ্য, একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেয়ে ফেরার সময় খুন হয়েছিলেন লিপসি। ১৫ ফেব্রুয়ারি লুধিয়ানার দেহলন বাইপাসে খুন করা হয়। আনোখ দাবি করেছিলেন, দুষ্কৃতীরা চুরি করতে এসে খুন করেন তাঁর স্ত্রীকে। যদিও পুলিশ তদন্তে নেমে দাবি করে, আনোখ মিত্তল ঘন ঘন বক্তব্য পরিবর্তন করছেন। এই আবহে আনোখ মিথ্যা বলতে পারেন বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। এই আবহে আনোখ, তাঁর বান্ধবী সহ মোট ৬ জনকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবার। (আরও পড়ুন: মলমূত্রে থাকা জীবাণুর মাত্রা বেশি মহাকুম্ভের গঙ্গায়, দাবি কেন্দ্রের রিপোর্টে)
আরও পড়ুন: কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ থেকে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট গঠনে ভূমিকা ছিল CEC জ্ঞানেশের
এর আগে আপ নেতা দাবি করেছিলেন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মালেরকোটলা রেডের একটি রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার সময় তারা ডেহলন বাইপাসে পৌঁছন, তখন প্রস্রাব করতে তিনি রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়েছিলেন। তিনি গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার ধারে যাওয়ার পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে কমপক্ষে পাঁচজন ব্যক্তি এসে তাকে আক্রমণ করে। এর ফলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। মিত্তল আরও জানান, যে কিছুক্ষণ পর যখন তিনি জ্ঞান ফিরে পান তখন তিনি রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর স্ত্রীকে পড়ে থাকতে দেখেন। সেই সময় তাঁর গায়ে গয়না ছিল না। তাঁর গাড়িও সেখানে আর ছিল না। (আরও পড়ুন: 'ঝগড়ায় কিছু হবে না', তেজস নিয়ে বায়ুসেনা প্রধানের সমালোচনার 'জবাব' HAL প্রধানের)
আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকের অবৈধবাসী ভারতীয়দের গ্রহণ করতে চলেছে এই মধ্য আমেরিকার দেশ!
মিত্তল আরও দাবি করেছিলেন, সেখানে কমপক্ষে এক ঘণ্টা ধরে সাহায্যের জন্য চিৎকার করেছিলেন। কিন্তু, কোনও গাড়ি তাঁকে সাহায্য করার জন্য থামেনি। পরে, একজন ধাবা মালিক তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। যেখানে তাঁর স্ত্রীকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। যদিও আনোখকে জেরা করে তদন্তকারীদের সন্দেহ হয়েছিল যে তিনি ডাকাতির সাজানো ঘটনা শোনাচ্ছেন। তদন্তের পরে পুলিশ কমিশনার কুলদীপ সিং চাহাল জানিয়েছেন, এই খুনে মূল ষড়যন্ত্রকারী মহিলার স্বামী। চাহাল আরও জানান, লিপসি খুনের ঘটনায় ৩৫ বছরের আনোখ ও তাঁর ২৪ বছরের বান্ধবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আনোখের স্ত্রী তাঁর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারায় তাঁকে খুনের ছক কষেছিলেন আনোখ। আনোখ ও তাঁর বান্ধবী ছাড়াও অমৃতপাল সিং ওরফে বাল্লি (২৬), গুরদীপ সিং ওরফে মান্নি (২৫), সোনু সিং (২৪) এবং সাগরদীপ সিং ওরফে তেজি (৩০) নামে চার চুক্তিভিত্তিক খুনিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।