মালায়লাম সিনেমা এল২ এমপুরান। ‘এল২ - এমপুরান’ বৃহস্পতিবারই এসেছিল থিয়েটারে। দক্ষিণী এই ছবিকে ঘিরে আগে থেকেই প্রবল উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তবে বিতর্ক এড়াতে এবার সাউথের সেই সিনেমায় অন্তত ১৭টি দৃশ্য় বাদ দেওয়া হবে বলে খবর। ২০০২ সালের গুজরাট অশান্তির প্রসঙ্গ রয়েছে এই সিনেমাতে। সেক্ষেত্রে যাতে বড় কোনও বিভ্রান্তি না ছড়ায় সেকারণে অন্তত ১৭টি কাট করা হচ্ছে এই সিনেমায়। এবার সেই মুভির নতুন সংস্করণ রিলিজ করবে আগামী সপ্তাহে।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ফিল্মের প্রোডাকশন টিম গোটা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সিনেমার কিছু দৃশ্য়ে নারীদের উপর অত্যাচার ও অশান্তির যে আবহটি ছিল সেগুলি থেকে কিছু অংশ বাদ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী বাবা বজরঙ্গীর চরিত্রের নামও বদলে দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। কিছু সংলাপকে মিউট করে দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর।
এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, প্রডিউসার গোকুলাম গোপালন আগেই জানিয়েছিলেন সেন্সর পাস করেছে ফিল্মটি তবে তারপরেও কিছু দৃশ্য় কাট করা হচ্ছে কারণ একাংশের মানুষের ভাবাবেগে যেন আঘাত না লাগে। পরিচালক, অভিনেতা চিত্র নির্মাতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন এই কাটের ব্যাপারে একমত।
এদিকে বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর জানিয়েছেন, আমি লুসিফার দেখেছিলাম। এটা ভালো লেগেছিল। আমি বলেছি যে এমপুরান দেখব কারণ এটা লুসিফারের সঙ্গে মিল রয়েছে। কিন্তু এখন দেখছি যে এই সিনেমার নির্মাতা মুভিতে ১৭টা কাট করেছেন। মুভিটা আবার সেন্সরশিপে যাবে। আমি বুঝতে পেরেছি যে মুভিতে এমন বিষয় ছিল যেটা মোহনলালের ফ্যান ও অন্যান্যদের কিছুটা ডিসটার্ব করবে। তিনি জানিয়েছেন, একটা সিনেমাকে সিনেমা হিসাবেই দেখা দরকার। এটাকে ইতিহাস হিসাবে দেখার দরকার নেই। আর যে সিনেমা সত্যিকে বিকৃত করে সেটা ব্যর্থ হয়। তাহলে আমি কি লুসিফারের পরবর্তীটা দেখব? না আমি একেবারেই হতাশ। এই ধরনের সিনেমা তৈরি নিয়ে।
বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরলীধরন জানিয়েছেন, দল তার অবস্থান পরিস্কার করে জানিয়েছে। একজন সিনেমাপ্রেমী হিসাবে ও যারা সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে। আমি সিনেমাটা দেখিনি। তবে দলের কী অবস্থান সেটা দলের রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন। আমি তাঁর মতের বিরুদ্ধে যেতে পারি না। কারণ রাজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে তিনি যে মতামত দেবেন সেটাই মানা দরকার।
এসবের মধ্য়েই ‘এল২ - এমপুরান’কে ঘিরে উৎসাহ ক্রমশ বাড়ছে।
এদিকে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কে গণেশ জানিয়েছেন, পৃথ্বিরাজের বিদেশি যোগটা খতিয়ে দেখা দরকার। এই সিনেমাতে পুরো দেশ বিরোধী কিছু রয়েছে কি না সেটা দেখা দরকার।