সোমবারের চমক বললেও ভুল হয় না! বাংলা সিনেমার এই পোস্টার দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠল দর্শকদের। গালের চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। চোখের চারপাশে অগুণতি বলিরেখা। কাঁচা-পাকা দাড়ি, কিন্তু দৃষ্টি তীক্ষ্ণ। এক ঝলক দেখে পারলেন কি চিনতে এই টলি-নায়ককে?
শুধু অভিনয় জীবন নিয়ে, দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি রাজনীতির ময়দানেও। তৃণমূল কংগ্রেসের দুঁদে নেতা। সেই ছোট্টবেলায় যার মুখে বাঙালি শুনেছিল, ‘মা একতু হরলিক্স দাও না চেতে চেতে খাবো।’
ঠিকই ধরেছেন, ছবির মানুষটি আসলেই সোহম চক্রবর্তী। আর পোস্টারটি হল ‘বহুরূপ’-এর। জানা গিয়েছে, এই সিনেমায় সাতটি আলাদা আলাদা লুক আছে ছবিতে সোহমের। এই যে ছবিটি, এখানে সোহমকে দেখানো হয়েছে সত্তর-পচাত্তরের এক বৃদ্ধের চরিত্রে। ‘বহুরূপ’ টিমের পক্ষ জানানো হয়েছে যে, মেকআপ টেবলের সামনে সোহমকে প্রস্থেটিক মেকআপ নিতে বসে থাকতে হয়েছে ঘন্টার পর ঘন্টা। এক একটা লুক সেট করতে লেগেছে প্রায় আড়াই-তিন ঘন্টা। কাজের শেষে সেই মেকআপ তুলতেও সময় লাগত, ঘন্টা খানেকের কাছাকাছি।
বহুরূপে নিজের এই প্রস্থেটিক লুকস নিয়ে সোহমের বক্তব্য, ‘আপনি আমাকে চিনতে পারবেন না। আপনি কেন, কেউ চিনতে পারবে না। রাস্তায় বেরিয়ে সবার সাথে মিশে গেলে, ঘুরে বেড়ালেও কেউ বুঝতে পারবে না! এমনকি যারা আমার সব থেকে কাছের মানুষ, কাছ থেকে আমাকে দেখে থাকে- আমার মা-বাবা, আমার ওয়াইফ। তারাও বুঝতে পারবে না, আমি সোহম চক্রবর্তী।’
‘'বহুরূপ' ছবিটাতে এরকম সাতটা ডিফারেন্ট লুক রয়েছে আমার। মেকআপ কমপ্লিটের পর যেগুলোকে দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম। আয়নায় নিজেকে দেখে মনে হচ্ছিল সামনে অন্য কোনো মানুষ দাঁড়িয়ে, আর সে আমাকে কিছু হয়ত বলতে চায়, এরকম সব ফিল হচ্ছিল। সোমনাথ কাকু (সোমনাথ কুন্ডু, প্রস্থেটিক মেকআপ আর্টিস্ট) এতটাই নিখুঁত ভাবে কাজটা করেছিলেন।’
ফিল্মস অ্যান্ড এন্টারটেইন্মেন্ট এবং রুক্মিণী ফিল্মস অ্যান্ড এন্টারটেইন্মেন্ট-এর প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে বহুরূপ। আকাশ মালাকারের লেখা গল্পে চিত্রনাট্যের রূপ দিয়েছেন নীলাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় ৷ নায়িকা হিসেবে রয়েছেন ইধিকা পাল। এছাড়াও দেখা যাবে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, লোকনাথ দে, দেবলীনা দত্ত প্রমুখকে।