ভারতীয় প্যারালাল সিনেমা আন্দোলনের পথিকৃৎ শ্যাম বেনেগাল ২৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। সোমবার সন্ধ্যায় হিন্দুস্তান টাইমসকে তার মেয়ে পিয়া বেনেগাল কিংবদন্তি মানুষটির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। ২৪ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের শিবাজি পার্ক ইলেকট্রিক ক্রিমেটোরিয়ামে পরিচালকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল।
শ্যাম বেনেগালের শেষকৃত্য
শাবানা আজমি মঙ্গলবার তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে চলচ্চিত্র নির্মাতার শেষকৃত্য সম্পর্কে তথ্য দেন। শ্যাম বেনেগালের সন্তান নীরা ও পিয়া বেনেগাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুপুর ২টোয় শিবাজি পার্ক ইলেকট্রিক ক্রিমেটোরিয়ামে শেষকৃত্য শুরু হবে।

শ্যাম বেনেগালের অঙ্কুরের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেছিলেন শাবানা, যার জন্য তিনি সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় পুরষ্কারও জিতেছিলেন। তিনি বেনেগালের সঙ্গে নিশান্ত এবং মান্ডি-সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করেন।



ইনস্টাগ্রামে একটি পাপারাজ্জো অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা একটি নতুন ভিডিয়ো অনুসারে, চলচ্চিত্র নির্মাতার মৃতদেহ শিবাজি পার্কে শোকাহত পরিবারের সদস্যরা নিয়ে আসেন। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করা নাসিরুদ্দিন শাহকে চলচ্চিত্র নির্মাতাকে আবেগঘন বিদায় জানাতে দেখা যায়। এসেছুিলেন রত্না পাঠক শাহ ও তাঁদের ছেলে ভিভান শাহ। ছিলেন বোমন ইরানি, নন্দিতা দাস, প্রযোজক রনি স্ক্রুওয়ালা।
প্রবীণ পরিচালক কিছুদিন আগে মুম্বইয়ে তাঁর পরিবার এবং ইন্ডাস্ট্রির ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে তাঁর ৯০ তম জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর সমৃদ্ধ কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন, যা প্রথাগত মূলধারার সিনেমার নিয়ম থেকে বেরিয়ে তৈরি। বলা চলে, ভারতে প্যারালাল সিনেমা তৈরির পথিকৃত ছিলেন তিনিই। তিনি ‘ভূমিকা: দ্য রোল’ (১৯৭৭), ‘জুনুন’ (১৯৭৮), ‘আরোহন’ (১৯৮২), ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু: দ্য ফরগটেন হিরো’ (২০০৪), ‘মন্থন’ (১৯৭৬), এবং ‘ওয়েল ডান আব্বা’ (২০১০) সহ একাধিক সিনেমার জন্য একাধিক জাতীয় পুরস্কার জিতেছিলেন।