দীর্ঘ অভিনয় জীবন তাঁর, পাঞ্জাব কিংস IPL টিমের মালিকও তিনি। তবে সম্প্রতি সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে খবরে শিরোনামে রয়েছেন প্রীতি জিন্টা। কেরল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট করলেন প্রীতি। আর এই সবই ঘটেছে ২৫ ফেব্রুয়ারি অভিনেত্রী প্রয়াগরাজ যাত্রার ঠিক আগে।
ঠিক কী ঘটেছে?
সম্প্রতি কেরালা কংগ্রেসের এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে দাবি করা হয় প্রীতি জিন্টার ১৮ কোটি টাকার ঋণ 'মকুব' করে দিয়েছে মোদী সরকার। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই বেজায় চটে যান অভিনেত্রী। মঙ্গলবার পাল্টা এক X বার্তায় প্রীতি এই খবরকে সম্পূর্ণ 'ভুয়ো' বলে দাবি করেন। জানান তিনি নিজেই নিজের উপার্জনের টাকায় লোক পরিশোধ করেছেন। এখানেই শেষ নয় খবর রটে প্রীতির সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তিনি নাকি বিজেপিকে দিয়ে দিয়েছেন।
কী লিখেছেন প্রীতি?
প্রীতি নিজের পোস্টের শুরুতেই স্পষ্ট করে দেন তিনি নিজেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করেন। বলেন এই ভুয়ো খবর রটানোর জন্য লজ্জা হওয়া উচিত। এরপরই লেখেন, ‘আমি হতবাক যে একটা রাজনৈতিক দল বা তাঁদের প্রতিনিধি এধরনের ভুয়ো খবর প্রচার করছে। আর আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে জঘন্য গসিপ এবং ক্লিকবেটের খেলা চলছে। এবার সকলকে জানাই যে, একটা ঋণ আমি নিয়েছিলেন, সেটা শোধও আমি করেছি, তবে সেটা ১০ বছর আগের ঘটনা। আশা করি, এবার বিষয়টা পরিষ্কার হবে এবং ভবিষ্যতে যেন আর কোনও ভুল বোঝাবুঝি না হয় (ভাঁজ করা হাতের ইমোজি)।’
আরও পড়ুন-অনন্য়ার সঙ্গে বাগদানের আগে চুপিচুপি সুকান্তর ফ্ল্যাটে হাজির সায়ক, ব্যাচেলর পার্টিতে কী হল?

প্রসঙ্গত, কংগ্রেস কেরালা সোমবার x- এ লেখে, 'প্রীতি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলি বিজেপিকে হস্তান্তরিত করেছেন। পরিবর্তে বিজেপি প্রীতির ১৮ কোটির ঋণ মুকুব করে দিয়েছে। আর গত সপ্তাহে সেই ব্যাঙ্কটিই দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। আমানতকারীরা তাঁদের টাকা ফের পেতে রাস্তায় নেমেছেন।
আর এই খবরের পর আরও একটা টুইটে প্রীতি লেখেন, ‘অসংখ্য ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আজ X-আছে। আমি আমার কেরিয়ারে বহু শ্রদ্ধেয় সাংবাদিককে ভুল খবর ছড়াতে দেখেছি। তাঁরা সেই ভুল সংশোধনের চেষ্টাও করেননি, ক্ষমাও চাননি। তবে আদালতে সেটা নিয়ে লড়াই করতে গিয়ে আমার খালি টাকা খরচ হয়েছে। সঠিক তথ্য ছাড়া যাঁরা এধরনের খবর ছড়াচ্ছেন, তাঁদের নাম ধরে ধরে চিহ্নিত করব।' এরপর একজনের নাম নিয়ে লেখেন, আপনি যদি আমার ভাবমূর্তির পরোয়া না করেন, তাহলে আমিও পরোয়া করব না। এরপরে আমায় ফোন করে নেবেন, জেনে নেবেন খবরটা আদৌ সত্য়ি কিনা? আপনার মতো আমিও তিল তিল করে নিজের ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছি।’
এদিকে কয়েকদিন আগেই প্রীতি আরও একটা টুই প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে লিখেছিলেন। টুইটে তিনি লেখেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল মানুষের সঙ্গে কী হয়েছে? সবাই খুব খামখেয়ালি। যদি কেউ এআই বটের সঙ্গে তাঁদের প্রথম চ্যাটের কথা বলেন তাহলে লোকেরা ধরে নেয় যে টাকা দিয়ে প্রচার করা চলছে, যদি আপনি আপনার প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেন তাহলেই লোকে আপনাকে বলবে একজন ভক্ত আর যদি আপনিগর্বিত হিন্দু বা ভারতীয় হন তাহলেই বলবে, আপনি একজন অন্ধ ভক্ত!’
এদিকে ২৫ ফেব্রুয়ারি মহাকুম্ভেও স্নান করতে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রীতি জিন্টা।
প্রসঙ্গত, প্রীতি'কে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ভাইয়াজি সুপারহিট’ ছবিতে। ভাইয়াজি সুপারহিট ছবিতে সানি দেওলের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তিনি একটি পর্বে এবিসি সিরিজ 'ফ্রেশ অফ দ্য বোটএ একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তবে প্রীতি রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত ‘লাহোর ১৯৪৭’ এর মাধ্যমে বলিউডে কামব্য়াক করতে প্রস্তুত। শাবানা আজমি এবং আলি ফজলও ১৯৪৭ সালের লাহোর ছবিতে অভিনয় করেন। সিনেমাটিতে সানি দেওলকে তাঁর বড় ছেলে করণ দেওলের সঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছে।