সলমন খান একবার রাগলে আর মাথার ঠিক থাকে না, এমন কথা জানা রয়েছে বলিউডের অন্দরে সকলেরই। এমনকী, এই রাগের মুখে পড়ে বেশ কিছু মানুষের কেরিয়ারও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে সেলিম খান নিজেও মেনে নিলেন, তাঁর বাচ্চাদের রাগ মারাত্মক। শুধু তাই নয়, তাঁকে বলতে শোনা গেল, সেই রাগ পেয়েছেন সকলে তাঁর থেকেই।
সলমান খান, আরবাজ খান, সোহেল খান, আলভিরা খান অগ্নিহোত্রী, চার সন্তানের বাবা সেলিম খান। পরে তিনি ও তাঁর স্ত্রী সালমা দত্তক নেন অর্পিতা খানকে। বিতর্কে ঘেরা বড় ছেলের জন্য, বরাবরই একটি শক্তিশালী স্তম্ভ হয়ে থেকেছেন সেলিম। তবে জুমের সঙ্গে পুরনো সাক্ষাৎকারে, সলমনের এই হুটপাট রেগে যাওয়া নিয়ে খুলেছিলেন মুখ।
‘আমি চাই আমার সন্তানরা আমার থেকে শিখুক রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা ও ধৈর্য। আমি মনে করি রাগ একটা ভালো আবেগ, যদি সেটিকে সঠিক পথে চালনা করা যায়। রাগ একটি জিনগত সমস্যা, যা আমার সন্তানরা আমার থেকে পেয়েছে। তবে তাদের এটি নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হবে, বিশেষ করে মদ্যপানের পর। যদি তাঁরা মদ্যপানের পর রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে তাঁদের উচিত হবে জীবন থেকে এটিকে সরিয়ে দেওয়া।’
২০১২ সালে সলমন নিজেও মেনে নিয়েছিলেন তাঁর বদমেজাজ। লাইভ মিন্টকে বলেছিলেন, ‘আমি যখন রেগে যাই, তখন আমি নিজেই ভয় পেয়ে যাই। এত রাগ। আমার অ্যানিউরিজমের সমস্যাও এই কারণেই। রাগ মানে তো শুধু এই নয় যে আপনি একটা বূোতল তুলে তা কারও মাথায় মারলেন। রাগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে রক্তচাপ জনিত সমস্যার মতো অনেক কিছুই। রাগ এমন একটা জিনিস, যা নিয়ে আপনার মনে হয় 'এটা ঠিক নয়'। আপনি চান এটিকে ঠিক করতে, এর জন্য যথাসাধ্য করছেনও, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এটিও রাগের একটা প্রধান কারণ।’
প্রসঙ্গত, সলমন রেগে গিয়ে হাত তুলেছেন, তেমনই অভিযোগ ছিল তাঁর দুই প্রাক্তন প্রেমিকা ঐশ্বর্য রাই, সোমি আলির। এমনকী, সলমন আর বিবেক ওবেরয়ের সেই ঝামেলাও কারও অজানা নয়। শুধু তাই নয়, ঐশ্বর্যর সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন সলমন খান সন্দেহের বশবর্তী হয়ে, তৎকালীন প্রেমিকার সিনেমার সেটে গিয়ে কখনও পরিচালক তো কখনও সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে বচসায় জড়াতেন। বছর ছয়েক আগে সলমন খান রেগে গিয়ে অরিজিৎ সিং-এর গানকেও তাঁর ছবি থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। এখন অবশ্য ভাইজান সবটা মিটমাট করে নিয়েছেন। তবে তাঁর রাগের কিস্সা এখনও আলোচিত হয় বলিউডে।