সেলিব্রিটিদের বিয়ে মানেই জমকালো একটা বিষয়। কিন্তু অনুষ্ঠানে অনেক ক্ষেত্রেই এমন অনুভূতি হতে পারে যখন খানিকটা একাকীত্বও ঘিরে ধরে। এবার সেরকম অনুভূতির কথাই ভাগ করে নিলেন শাহিদ-পত্নী মীরা কাপুর।
নয়না ভান এবং সাক্ষী শিবদাসানির মোমেন্টস অফ সাইলেন্স পডকাস্টে মীরা ইনস্টাগ্রামের ফিল্টার করা ফ্রেমের পিছনের জীবন সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে শাহিদ কাপুরের সঙ্গে বিয়ে থেকে শুরু করে বন্ধু, বলিউডে তাঁদের নিয়ে নানা গসিপের সটা নিয়ে মন খুলে নানা কথা ভাগ করে নিয়েছেন মীরা।
আরও পড়ুন: বলি তারকাদের নাম নিয়ে বাবিলের কান্নাকাটির ভিডিয়ো ঘিরে বিতর্ক! 'সব সময়…', জবাব অনন্যার
২০ বছর বয়সে শাহিদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন মীরা, কিন্তু কখনও কখনও সম্পর্কে একাকিত্ব বোধও করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘অনেক সময়ই আলাদা ভাবে কেটেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা (মীরা এবং তার বন্ধুরা) আলাদা ভাবে বেড়ে উঠেছি। বেশ অনেকটা সময় আমাদের আলাদা কেটেছে। জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা যদি আমাদের বিভিন্ন বন্ধুদের দিকেও তাকাই তবে এটা অবশ্যই মনে হবে যে, সে যা করছে তা আমি করতে পারতাম।’
আরও পড়ুন: কাঁধে ব্যাগ, মা শুভশ্রীর কোলে চড়ে স্কুলে গেল ছোট্ট ইয়ালিনি! কোন স্কুলে ভর্তি হল রাজ-কন্যা?
মীরা জানান, যখন তাঁর সহপাঠীরা মাস্টার্স করছিল, তখন তিনি একটা নতুন শহরে, একটি নতুন বাড়িতে, একটা নতুন পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে আছে, আমি আগের মতো ওঁদের সঙ্গে কথা বলতে পারতাম না। ওঁরা বলত, বিয়ে করে তুমি আমাদের ভুলে গিয়েছ। আর আমি বলতাম, আমি সত্যিই জড়িয়ে পড়েছি! কিন্তু সেই বন্ধুত্ব এখনও টিকে আছে আমাদের মধ্যে। আমার মনে হয় না ওঁরা তখন এটা বুঝতে পেরেছিল যে আমরা একই ভাবে বন্ধু থেকে যাব। কিন্তু ভাগ্যক্রমে, বন্ধুত্বটা টিকে যায়। তবে ওঁরা এখন আমার জায়গাটা বুঝতে পারছে। কারণ ওঁরা নিজেরা এখন জীবনের সেই পর্যায়ে রয়েছে।’
এই পডকাস্টে স্বামী শাহিদকে নিয়েও নানা কথা বলেন মীরা। তিনি জানান শাহিদ নাকি পর নিন্দা পর চর্চা একেবারে পছন্দ করেন না। তিনি বলনে, ‘অনেকেই ভাবেন আমার গসিপের উৎস শাহিদ। কিন্তু ও কোনও গসিপ পছন্দ করে না! অনেক সময় আমি ভাবি, যে ও এসে বলবে কী কী হয়েছে। উল্টে আমি জিজ্ঞাসা করলে, ও আমাকে বলে, আমি জানি না। গসিপ বিষয়ে ও সবচেয়ে কম আগ্রহী।'
তবে কেবল বলিউডে অন্যদের গসিপ তো নয়, তাঁদের নিয়েও নানা রটনা রটে। এই নিয়ে শাহিদ ও মীরা নিজেদের মধ্যে হাসাহাসিও করেন। তাঁর কথায়, ‘সবচেয়ে মজার বিষয় হল। যখন এটা আমার সম্পর্কে হয়, আমি ভাবি, এটা কখন করলাম। আমি এটা নিয়ে ভাবতে বসি রীতিমতো। আর সেখান থেকে একটা বিষয় মাথায় আসে যে, আমি যেটা করিনি, সেটা নিয়ে এভাবে আলোচনা হচ্ছে, তার মানে বাকিদের নিয়েও যে সব রটনা রটে তারও ৯০ শতাংশ ভুয়োই হয় সম্ভবত।’