উত্তর কলকাতার বিডন স্ট্রিটে অবস্থিত ১৩২ বছরের পুরনো মিনার্ভা থিয়েটার ১৯ শতকের আধুনিক বাংলা থিয়েটার জগতের সূচনাকালের সাক্ষী। ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত কলকাতার এই জনপ্রিয় নাট্যশালা অবশেষে পেল ব্লু পেক তকমা।
ব্লু পেক সম্মান সেই সমস্ত স্থাপত্যকে দেওয়া হয় যাদের ঐতিহাসিক মূল্য রয়েছে। KMC হেরিটেজ কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতার বেশ কয়েকটি স্থাপত্যকে ঐতিহাসিক স্থাপত্য হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছে, যার মধ্যে মিনার্ভা থিয়েটার অন্যতম। একদিকে যেমন বাংলার শিল্পের সঙ্গে এই থিয়েটারের জন্মলগ্ন থেকে সম্পর্ক রয়েছে তেমন অন্যদিকে এই থিয়েটার গঠনগত দিক থেকেও ঐতিহাসিক।
আরও পড়ুন: ইঙ্গিতবহ বার্তা পুবের ময়নার নির্ঝরের! গৌরব কেন লিখলেন, 'একবার গেলে আর ফিরব না, জানি মুক্তির মানে'?
আরও পড়ুন: বিয়ের পর প্রথম শিবরাত্রিতে উপোস করেও কাজে শ্বেতা! রুবেল পত্নী বললেন, ‘আমি শিবকে…’
মিনার্ভা থিয়েটারের সেক্রেটারি অনুপ গায়েন টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলা শিল্পের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মিনার্ভা থিয়েটার। থিয়েটার জগতের একাধিক মহারথী যেমন গিরিশ চন্দ্র ঘোষ, শিশির কুমার ভাদুড়ি, উৎপল দত্ত এবং উত্তম কুমার এই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আমরা ভীষণ খুশি যে সরকার মিনার্ভা থিয়েটারকে ঐতিহাসিক স্থাপত্য হিসেবে গণ্য করেছে।
মিনার্ভা থিয়েটার প্রসঙ্গে
১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই থিয়েটারে প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘ম্যাকবেথ’ নাটকটি। থিয়েটারের প্রথম মালিক ছিলেন নরেন্দ্র ভূষণ মুখোপাধ্যায়। ১৯২২ সালে এই থিয়েটারটি অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল, ১৯২৫ সালে থিয়েটারটি ফের নির্মিত হয় গায়িকা তথা সেই সময়ের খ্যাতনামা অভিনেত্রী আঙুর বালা দেবীর আর্থিক সহায়তায়।
আরও পড়ুন: সমুদ্র সৈকতে দোলনায় দুলছেন দেব! এই ট্রিপেও সঙ্গী রুক্মিণী? ছবি দেখে দুইয়ে দুইয়ে চার নেটপাড়ার
আরও পড়ুন: বিয়ের ৩ মাসের মধ্যেই মা হয়ে কটাক্ষের শিকার! ছেলের একমাস পূর্তিতে রূপসা লিখলেন...
১৮৯৩ সালের ২৮ জানুয়ারি গিরিশ চন্দ্র ঘোষের প্রথম নাটক ‘ম্যাকবেথ’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই থিয়েটারেই। শুধু তাই নয়, বাংলার প্রথম মোশন পিকচার যেটি হীরালাল সেন তৈরি করেছিলেন, সেটিও প্রথম দেখানো হয়েছিল মিনার্ভা থিয়েটারে। পরবর্তী সময়ে স্টার থিয়েটার এবং ক্লাসিক থিয়েটারেও সেটি দেখানো হয়। এই হলেই গিরিশ চন্দ্র ঘোষের সর্বশেষ থিয়েটার ‘বলিদান’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে।