দেব বিগত কয়েকবছর ধরেই বুঝিয়েছেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। আপাতত বলিউডের এই অভিনেতার সাফল্যের ধারেকাছে কেউ আসতে পারছে না। তিনিও নিজেকে ভেঙে গড়ে নিচ্ছেন প্রায় প্রতিটা ছবিতে। যেভাবে কমার্শিয়াল সিনেমাকে ফিরিয়ে আনলেন, তা হয়তো দেব ছাড়া আর কেউই পারতেন না। প্রথম সপ্তাহে রেকর্ড ব্রেকিং আয়ের পর, দ্বিতীয় সপ্তাহেও চলছে কামাল করা আয়।
খাদানের বক্সঅফিস কালেকশন:
West Bengal Box Office- অনুসারে খাদানের দ্বিতীয় শুক্রবারের সংগ্রহ ৪৫ লাখ টাকা। আর এই অঙ্ক যোগ করলে মোট আয় হল ৭.০৫ কোটি। চলুন একবার দিনপ্রতি খাদানের সংগ্রহে চোখ রাখা যাক-
উদ্বোধনী শুক্রবার: ৮৪ লাখ
শনিবার: ৯৬ লাখ
রবিবার: ১.২০ কোটি
সোমবার: ৬৪ লাখ
মঙ্গলবার: ৭৬ লাখ
বুধবার: ১.৫৩ কোটি
বৃহস্পতিবার: ৬৭ লাখ
দ্বিতীয় শুক্রবার: ৪৫ লাখ
বর্তমানে সর্বোচ্চ আয়ের হিসেবে বাংলা ছবির তালিকায় উপরে রয়েছে শিবপ্রসাদ আর নন্দিতার বহুরূপী। যা এই বছর দেবের টেক্কাকে রীতিমতো মাত দিয়ে দেয়। ১৫ কোটির উপর আয়, বাংলা ছবির ক্ষেত্রে অভাবনীয়। তবে দেব যে গতিতে এগোচ্ছেন, তাতে মনে করা হচ্ছে, বহুরূপীর রেকর্ড এবার বুঝি বা ভাঙল বলে।
সন্তান-চালচিত্র-স্বপ্নপয় লেনের ৭ দিনের রোজগার:
খাদানের সামনে বড়দিনে মুক্তি পাওয়া বাদবাকি ৩টে ছবিই রীতিমতো খাবি খাচ্ছে। যেমন সন্তানের ১ সপ্তাহে নেট বক্স অফিস আয় ১.৪৫ কোটি। অন্যদিকে প্রতীম ডি গুপ্তার ছবি চালচিত্রের প্রথম সপ্তাহের নেট বক্স অফিস আয় ২৮.৫০ লাখ। আর মানসী সিনহার স্বপ্নময় লেনের কালেকশন ২১ লাখ।
দেবের পরবর্তী সিনেমা
২০২৪ সালে দেবকে দেখা গেল খাদান আর টেক্কায়। দুটোই হিট করেছে বক্স অফিসে। খুব সম্ভবত ২০২৫ সালে দেব প্রেক্ষাগৃহে আসবেন তাঁর পছন্দের পিচালক-প্রযোজক জুটি অভিজিৎ-অতনুকে সঙ্গে নিয়ে। 'প্রজাপতি', 'প্রধান'-এর পর তৃতীয় ছবি ‘প্রতীক্ষা’। সঙ্গে 'প্রজাপতি'র পর এই ছবিতে আরও একবার দেখা যাবে দেব-মিঠুনের জুটি।
যদিও দেব-অতনু-অভিজিতের যুগলবন্দির ছবি পরপর দুবার এসছে ক্রিসমাসে। এবারে যদিও সেই জায়গায় দর্শক দেখছেন খাদান। এখন দেখার, বছরের মাঝামাঝি ‘প্রতীক্ষা’ আসে, নাকি ২০২৫ সালের ক্রিসমাস অবধি দর্শককে প্রতীক্ষা করতে হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্য বছরের মাঝামাঝি নতুন কোনো প্রোজেক্ট নিয়ে দেব এসে যেতে পারেন দর্শকের কাছে। তবে সবটাই বোঝা যাবে আরও কিছুদিন পর। কারণ তৃণমূলের তারকা সাংসদের কাছে ‘পাখির চোখ’ এখন শুধুই খাদান, খাদান আর খাদান।