গত বছর অহনা দত্ত হারিয়েছিলেন শাশুড়িকে। ফের একবার কাছের মানুষের মৃত্যু। এবার না ফেরার দেশে দিদা। সেইখবর শেয়ার করে নিয়েছেন অহনার মা চাঁদনী সোশ্যাল মিডিয়াতে।
চাঁদনী ফেসবুক পোস্টে মায়ের একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘যে যন্ত্রণা নিয়ে তুমি চলে গেলে, আমি সেই যন্ত্রণা নিয়েই তিলে তিলে বাঁচব। কারণ আমি নিশ্চয়ই খুব পাপ করেছি, তা না হলে বিনা কারণে বাঁচতে হতো না।’
বহুদিন হল মা-দিদার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই অহনার। অনুরাগের ছোঁয়ার কাজ শুরু করার পরপরই, দীপঙ্করের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অভিনেত্রী। আর এই নিয়েই বিরোধ হয় পরিবারের সঙ্গে। ভালোবাসার টানে পরিবার ত্যাগ করেছেন অহনা। এমনকী, অভিনেত্রীর ‘গোপন বিয়েতে’ও ছিলেন না মা-দিদা-দাদু।
অহনার মা-বাবা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর, মেয়েকে নিয়ে বাপেরবাড়ি চলে আসেন চাঁদনী। তারপর থেকে মায়ের পাশাপাশি দিদা-দাদুও আগলে রেখেছিল দুজনকে। অহনা ও তাঁর মা প্রথম লাইমলাইটে আসেন ডান্স বাংলা ডান্সে ভাগ নেওয়ার পর। সেখানে তাঁদের পারিবারিক বন্ধন দর্শক মনে আলাদ করে ছাপ ফেলেছি। বিশেষ করে মা-মেয়ের কেমিস্ট্রি।
অহনার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে কথা বলবেন বলে, জানিয়েছেন অভিনেত্রী। এর আগে দীপঙ্কর রায়ের সঙ্গে গোপন বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আনার পর, অহনাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, বিয়ের খবর তিনি জানিয়েছিলেন দিদাকে। তবে সেটাতে মা-র কি প্রতিক্রিয়া তা জানেন না।
চাঁদনীকে একাধিক সাক্ষাৎকারে বলতে শোনা গিয়েছে, অহনা দমদমের বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর, খুব ভেঙে পড়েন তাঁর দাদু-দিদাও। আসলে, দীপঙ্কর অহনার থেকে বয়সে অনেকটাই বড়, সঙ্গে তিনি বিবাহবিচ্ছিন্ন। অন্য দিকে অহনার বয়স মাত্র ২১ বছর। এত কম বয়সে মেয়ে প্রেম করুক, তাও এমন একটি ছেলের সঙ্গে তা চাননি চাঁদনী। ফত পরিবারের ঝামেলা শুরু। শোনা যায়, অহনার মা চেষ্টা করেছিলেন যাতে সিরিয়ালের কাজ চলে যায় দীপঙ্করের। এদিকে প্রেমিকের, তাঁর ভালোবাসার অপমান মেনে নিতে না পেরে, বাড়ি ছাড়েন অহনা। টলিগঞ্জে একটি ফ্ল্যাটে শুরু করেন একত্রবাস। যদিও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরেই আইনি বিয়ে করে নেন অহনা-দীপঙ্কর।
তবে সেই বিয়ের পরও, পরিবার জোড়া লাগেনি। অহনার আশা ছিল, সময় সবটা ঠিক করবে। এই মর্মে তিনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কাছে আশাও প্রকাশ করেছিলেন। তবে সব ঠিক হওয়ার আগেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রীর দিদা।