জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধানের জয় হয়েছে। কিন্তু হরিয়ানায় হারের পিছনে অন্য গন্ধ পেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীর এবং হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরে বুধবার সকালে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেখানে যে ইন্ডিয়ার (ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে হাত মিলিয়ে, কংগ্রেস ছ'টি আসন জিতেছে) জয় হয়েছে, সেটা সংবিধানের জয়। গণতান্ত্রিক স্বাভিমানের জয়। হরিয়ানায় যে অপ্রত্যাশিত ফলাফল হয়েছে, তা আমরা বিশ্লেষণ করছি। অনেক বিধানসভা থেকে অভিযোগ আসছে। সেগুলি নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে।’
থালায় সাজিয়ে দেওয়া ছিল হরিয়ানা
আর সত্যিই অপ্রত্যাশিত ছিল হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। কারণ জাঠ ভোটের অঙ্ক, কুস্তিগিরদের প্রতিবাদ, কৃষক আন্দোলন, ১০ বছরের প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়ার মতো বিষয়গুলির কারণে কংগ্রেসের সামনে কার্যত থালায় সাজিয়ে হরিয়ানা রাখা হয়েছিল। তারপরও হরিয়ানায় হেরে গিয়েছে কংগ্রেস। দাঁত কামড়ে পড়ে থেকে বাজিমাত করে গিয়েছে বিজেপি।
অজুহাত খুঁজছেন রাহুল?
উত্তর ভারতের মাত্র ৯০টি আসন বিশিষ্ট রাজ্যে যে কংগ্রেসের এরকম পরিণতি হয়েছে, সেটার পিছনে যে হাত শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব একটা বড় কারণ, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের। ওই মহলের মতে, সেই অন্তর্দ্বন্দ্ব কাটিয়ে কংগ্রেসকে একজোট করতে না পারার দায় রাহুলেরও উপর বর্তায়। রাহুল অবশ্য সেইসব বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি শুধুমাত্র দলের ‘কঠোর’ পরিশ্রমী কার্যকর্তাদের প্রশংসা করেছেন। সেইসঙ্গে হরিয়ানায় হারের পিছনে অন্য গন্ধ আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ব্যাটারি অভিযোগ কংগ্রেসের
তবে শুধু রাহুল নয়, মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা পবন খেরাও একইরকম অভিযোগ করেছিলেন। রাহুল একটু রয়ে-সয়ে বলেছেন। খেরা একেবারে সোজা-সাপটা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'হরিয়ানায় নির্বাচন হল। সেটার ফলাফল একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। এমনকী আমরা এটাও বলব যে এই ফলাফল একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের কাছে লাগাতার অভিযোগ আসছিল, যে (সেটা বলে শেষ করা যাবে না)।’
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আরও বলেছিলেন, ‘আমি এবং জয়রাম রমেশ যে ঘরে বসেছিলাম, সেখানে লাগাতার অভিযোগ আসছিল। হিসার, মহেন্দ্রগড় এবং পানিপথের প্রার্থীদের থেকে লাগাতার অভিযোগ আসছিল যে কীভাবে মেশিনের ব্যাটারি ৯৯ শতাংশ হয়েছিল। আর যে মেশিনের ব্যাটারি ৯৯ শতাংশ হয়েছিল, সেখানে আমরা হেরে গিয়েছি বলে ফল এসেছে। যে মেশিনে কোনও কিছু করা হয়নি, যে মেশিনের ব্যাটারি ৬০-৭০ শতাংশ ছিল, সেখানে আমরা জিতছিলাম। আমাদের প্রার্থীরা জিতছিলেন। ওটাই স্বাভাবিক থাকার কথা।’