এবার উত্তর কলকাতা আসনটি প্রথম থেকেই নজরকাড়া। আর ভোটের দিনে আচমকাই বেলেঘাটার ‘বাহুবলী’ বলে পরিচিত রাজু নস্করের অফিসে হাজির হন কুণাল ঘোষ। যে কুণাল ঘোষ এর আগে সরাসরি উত্তর কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় সম্পর্কে নানা কথা বলে দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন। সেই কুণাল আচমকা ভোটের দুপুরে যে ভূমিকা নিলেন তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় দলের অন্দরে।
এদিকে কুণাল রাজুর অফিসে গিয়েছে একথা চাউড় হতেই সেখানে বিধায়ক পরেশ পালও চলে আসেন। চলে আসেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় নিজেও।
কিন্তু আচমকা ভোটের দুপুরে রাজুর অফিসে কেন এলেন কুণাল?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই বাম আমল থেকেই ভোট পরিচালনার কাজে দক্ষ রাজু নস্কর। 'রাজু যার, আসন তার,' এমন কথাও এলাকায় মুখে মুখে রটে। আর ভোটের দিন দেখা গিয়েছিল সেই রাজু রাস্তায় না বেরিয়ে একেবারে অফিসেই বসে রয়েছেন। এরপরই তাঁর কাছে চলে আসেন কুণাল ঘোষ।
তবে কি এবারের ভোটে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে গেলেন রাজু? নাকি কোনও বিশেষ সমীকরণের জেরে বসিয়ে দেওয়া হল রাজুকে?
তবে রাজু নিজে জানিয়েছেন, এখন তো মাল্টিমিডিয়ার যুগ। ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপে সব করা যায়। তার জন্য বুথে যেতে হয় না। মানুষ ভোট দিচ্ছেন।…
কিন্তু কুণাল কেন এলেন রাজুর অফিসে?
কুণাল ঘোষ নিজে জানিয়েছেন, রাজু আগে বুথে বুথে ঘুরতেন। এখন তো বয়স হয়েছে। রিমোট কন্ট্রোলে ভোট হয়ে যায়। এখানে কোনও বৈঠক হয়নি। আর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, কোনও বৈঠকই নয়। কোনও সমীকরণ নেই। ভোটের দিন সব জায়গাতেই যাই। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েছিলাম। কুণাল বলল এখানে আছে। তাই এলাম। রাজু মাঠে থাকলে মার্জিন আরও বাড়ত। আর কুণাল ঘোষ বলেন, শুভেন্দু যে কয়েকজনের নাম করে হুমকি দিয়েছিল তার মধ্য়ে রাজু অন্যতম। ভোটের দিন যাতে ফাঁসিয়ে দেওয়া না হয় তাই এলাম।
এদিকে উত্তর কলকাতায় ভোট অথচ মাঠে নেই রাজু। কথায় আছে একাধিক এলাকায় ভোট করায় রাজু। এটাই বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসছে। আর সেই রাজু ভোটের দিন ঠান্ডা ঘরে বসে গেলেন। হলটা কী!
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এবার ভোটপর্বের প্রথম থেকেই সুদীপকে প্রার্থী হিসাবে মেনে নিতে পারেননি কুণাল। সেক্ষেত্রে কোথায় কোনও কলকাঠি নড়লে তার দায় কি কুণালকেই নিতে হবে?