সায়নী ঘোষ এবার যাদবপুরের তৃণমূলের প্রার্থী। এবার আর টিকিট পাননি অপর সেলিব্রিটি মিমি চক্রবর্তী। তবে রবিবার হরিনাভির সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মিমির নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, তাঁর ( মিমির) অবশ্য় কোনও দোষ ছিল না। তিনি নিজের ফিল্মের জগতে ব্যস্ত। এটা আমাদেরই দোষ ছিল। সেজন্য আমরা শুধরে নিয়েছি। সায়নী এলাকায় পড়ে থেকে লড়াই করবেন ও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করবেন, উন্নয়নের কাজ করে যাবেন। বললেন মমতা।
কিন্তু কেন একথা বললেন নেত্রী? আসলে মিমিকে এলাকায় পাওয়া যেত না বলেই এলাকাবাসীদের একটা অসন্তোষ রয়েছে। বিষয়টি তৃণমূল নেতৃত্বও জানেন। তবে এবার আর টিকিট পাননি মিমি।
এদিন কার্যত এই অসন্তোষের বিষয়টি আঁচ করেই নেত্রী বলেন, আমার প্রার্থী সায়নী। সায়নীকে দিয়েছি এই কারণে যে আগের বার অতটা সার্ভিস পাননি। কার্যত সায়নীকে কেন প্রার্থী করা হল তার ব্যাখা দিলেন মমতা।
এখানেই থেমে থাকেননি মমতা। তিনি জানিয়েছেন, আমি ফোন করেছিলাম( মিমি চক্রবর্তীকে)। তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম অন্য কোনও আসন থেকে লড়তে চায় কি না। আমি তাকে না করিনি। সে খুব ভালো মেয়ে। তার ভালো হোক।
এদিকে এবার আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন মিমি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে ইস্তফা পাঠিয়েছিলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সেটা গত ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। মিমি সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছিলেন, সাধারণভাবে বলছি, আমি দলের কথা বলছি না। আজ পর্যন্ত বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কিছু বলিনি। নিজের দলের বিরুদ্ধে কী বলব। কিন্তু এটাই বলব পরিষেবা দিতে গিয়ে যে বাধাগুলি পেয়েছি, বাধাগুলির কথা দিদিকে জানিয়েছি। দিদি স্টেপ নেবেন। বাকিটা সবই দিদির উপর। আমি হৃদয় থেকে বিশ্বাস করি আমি সৎ। আপনারা মিডিয়া বাকিটা আপনারা দেখতে পারেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছিল মিমি জানিয়েছিলেন, রাজনীতি আমার জন্য নয়। এখানে( রাজনীতি) আমি একজন অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করি। আমার সমান দায়িত্ব রয়েছে। যদি আপনি রাজনীতিতে যোগ দেন, আপনি কাজ করুন অথবা না করুন আপনাকে সমালোচনার মুখে পড়তে হবে। আমি এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছি। আমি একথাও বলতে চাই ২০২২ সালেও আমি এমপি পদ থেকে ইস্তফার ব্যাপারে তাঁকে বলেছিলাম। সেই সময় তিনি মানতে চাননি।…
তবে মমতা বললেন মিমি ভালো মেয়ে।