কর্ণাটকের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফির প্রথম ম্যাচে ৩৮২ রান তুলেও হারতে হয় মুম্বইকে। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদকে নিতান্ত সস্তায় বেঁধে রেখেও কার্যত হারতে হারতে ম্যাচ জেতে মুম্বই। টেল এন্ডার হিসেবে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার মুম্বইয়ের পরিত্রাতা হয়ে দেখা দেন।
আমদাবাদে বিজয় হাজারে ট্রফির সি-গ্রুপের ম্যাচে টস জেতেন মুম্বই দলনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। তিনি শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান তিলক বর্মার নেতৃত্বাধীন হায়দরাবাদকে। ওপেনিং জুটিতে ৮৫ রান তোলা সত্ত্বেও হায়দরাবাদ ৩৮.১ ওভারে ১৬৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়।
ওপেন করতে নেমে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন তন্ময় আগরওয়াল। তিনি ৭৪ বলে ৬৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৯টি চার ও ১টি ছক্কা। অপর ওপেনার অভিরথ রেড্ডি ৫৮ বলে ৩৫ রান করেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অর্ধশতরান করেন আরাবেল্লি অবনীশ। তিনি ৪৭ বলে ৫২ রান করেন। মারেন ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন তিলক বর্মা। রোহিত রায়াড়ু করেন ১ রান। চামা মিলিন্দ ৩ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। মুম্বইয়ের হয়ে ১০ ওভারে ৫৫ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নেন অথর্ব আঙ্কোলেকর। ৪.১ ওভার বল করে ১৭ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন আয়ুষ মাত্রে। ১০ ওভারে ৩৮ রান খরচ করে ২টি উইকেট পকেটে পোরেন তনুষ কোটিয়ান। শার্দুল ঠাকুর ৭ ওভারে ২৩ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই শুরু থেকেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। দুই ওপেনার অংকৃষ রঘুবংশী ও আয়ুষ মাত্রে আউট হন যথাক্রমে ২৩ বলে ১৯ ও ১৬ বলে ২৮ রান করে। শূন্য রানে আউট হন হার্দিক তামোরে ও শার্দুল ঠাকুর। ১৬ বলে ৬ রান করেন সূর্যাংশ শেজ। ৬ বলে ৫ রান করেন অথর্ব আঙ্কোলেকর।
৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সূর্যকুমার যাদব ২৩ বলে ১৮ রান করেন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। মুম্বই দলদত ৬৭ রানে ৬ উইকেট হারায়। তারা ৭ উইকেট খোয়ায় ১০৫ রানে। মুম্বই নিশ্চিত হারের দিকে এগোচ্ছে বলে মনে হতে শুরু করে। ঠিক তখনই ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদের হিসাবে গোলমাল করে দেন শ্রেয়স। তনুষ কোটিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইকে জয় এনে দেন শ্রেয়স।
তনুষ ৩৭ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৬টি চার মারেন। শ্রেয়স ২০ বলে ৪৪ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। মুম্বই ২৫.২ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। হায়দরাবাদের হয়ে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন নিশান্ত।