Indian Premier League(আইপিএল) এর ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে দুরমুশ হয়েছে পঞ্জাব কিংস দল। ৯ বল বাকি থাকতেই প্রায় ২৫০ ছুই ছুই টার্গেট চেজ করে নিয়েছে অভিষেক শর্মা, ট্র্যাভিস হেডদের দল। যেভাবে সানরাইজার্সের ওপেনাররা ব্যাটিং করছিলেন, তাতে মনে হচ্ছে টার্গেট যদি ৩০০ রানও হত তাহলেও তাঁরা চেজ করে নেবেন।
আসলে পরপর ম্যাচ হেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছিল প্যাট কামিন্সের দলের। বারবারই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক, যিনি সানরাইজার্সের দলনেতা সেই কামিন্সকে বলতে শোনা গেছিল, ক্রিকেটারদের সংযমি এবং ধৈর্যশীল হতে হবে। অর্থাৎ ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে আগ্রাসন দেখাতে গিয়ে কখনই বেপরোয়া হয়ে যাওয়া উচিত নয়, বলছিলেন কামিন্স।
এই ম্যাচেও দেখা গেল সেই চিত্র। ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা দুজনেই শুরুর দিকে কয়েকটা বলে নিজেদের উইকেট বাঁচিয়ে রাখলেন। আর একবার নিজেদের হোম গ্রাউন্ডে সেট হতেই ওপেনিং পার্টনারশিপেই তাঁরা তুলে ফেললেন ১৭১ রান। হেড করলেন ৬৬ আর অভিষেক শর্মা করলেন নিজের সর্বোচ্চ ১৪১। তাতেই ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে সানরাইজার্স।
পঞ্জাব যে ২৪৫ রান করার পরেও এভাবে হারবে সেটা যেন বিশ্বাসই হচ্ছিল না শ্রেয়স আইয়ারের। তিনি অধিনায়ক হিসেবে যা যা করার সবই করেছেন। ব্যাট হাতে মাত্র ৩৬ বলে ৮২ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি। তাই ম্যাচ শেষে নিজের ওপরই দায়িত্ব নিয়েছেন হারের, বলেছেন ওভার রোটেশন ভালো করা উচিত ছিল।
ফুল ফ্লপ ম্যাক্সওয়েল
এরই মধ্যে অবশ্য ম্যাচের সময় শ্রেয়স আইয়ারের কার্যত মাথা গরম করে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এমনিততে তো অজি তারকা রানের মধ্যে নেই। জাতীয় দলের হয়ে যে ক্রিকেটটা খেলেন, আইপএলে এসে তার শিকি ভাগও খেলেন না। এখন পঞ্জাব কিংস তাঁকে ব্যাটারের ভূমিকায় কম পাচ্ছে, বরং বোলার হিসেবেই বেশি খেলাচ্ছে।
বিরক্ত শ্রেয়স আইয়ার
সানরাইজার্স ম্যাচে অধিনায়কের সিদ্ধান্ত বা অনুমতি ছাড়াই ডিআরএসের আপিল করে শ্রেয়স আইয়ারের কাছে এক প্রকার ঝাড় খেলেন ম্যাক্সওয়েস। ট্র্যাভিস হেডের বিরুদ্ধে ম্যাক্সওয়েল বোলিং করছিলেন। তখন একটি বল লেগ সাইডে যায়, সেই বল আম্পায়ার ওয়াইড দিতেই সরাসরি ডিআরএসের আপিল করেন ম্যাক্সওয়েল, যা দেখে আম্পায়ারও ডিআরএসের সিগন্যাল দেখান। আর এই বিষয়টি দেখেই রেগে লাল হয়ে যান ফিল্ড অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। কারণ নিয়ম মতো এই দায়িত্ব অধিনায়কেরই।