আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তবে দলে দেখা যাবে না শাকিব আল হাসান এবং লিটন দাসকে। একজন বাদ পড়েছেন নিজের ফর্মের কারণে। অপরজন জানেন না আদৌ বাংলাদেশের হয়ে আর খেলার সুযোগ পাবেন কিনা। দেশের হয়ে একাধিক আইসিসি ইভেন্ট খেলেছেন শাকিব। অবদান রয়েছে অনেক। তবে পরিবর্তনের বাংলাদেশে ব্রাত্য থাকতে হয়েছে জাতীয় দল থেকে। এমনকী দেশেও ফিরতে পারছেন না এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। শাকিবের ইচ্ছা ছিল বাংলাদেশের মাটিতে কেরিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলবেন। একসময় সেই সম্ভাবনা তৈরিও হয়েছিল। খেলার কথা ছিল মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচ। তবে রাজনৈতিক পালাবদলের ফলে তা সম্ভব হয়নি।
শুধু তাই নয়, ইচ্ছা ছিল এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ওডিআই ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার, সেটাও সম্ভব হয়নি। দলেই রাখা হয়নি তাঁকে। এরকম পরিস্থিতিতে তাঁকে বাংলাদেশের অতীত ভুলে নতুন করে ক্রিকেট জীবন শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁর শুভাকাঙ্খীরা। তাঁকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ২০২৮ অলিম্পিক্সে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলতে নামার, এমনটাই জানাচ্ছে সংবাদ প্রতিদিন। এমনিতেও বেশিরভাগ সময়টা তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ খেলে থাকতেন। ফাঁকা সময়টা কাটান মার্কিন মুলুকেই। ফলে সেখানে খেলার সমস্যা নেই। গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদনও করেছেন তিনি। শাকিব নিজেও নাকি বুঝতে পারছেন বাংলাদেশের হয়ে খেলার আর সেরকম সম্ভাবনা নেই। ফলে চাইছেন নতুন করে সবকিছু শুরুর করতে।
উল্লেখ্য, ২০২৮ লস এঞ্জেলস অলিম্পিক্সে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শাকিবকে আপাতত বোঝানো হয়েছে যে বাংলাদেশ পর্ব ভুলে অলিম্পিক্সে ফোকাস করতে। তবে তার আগে কিছুটা পরিশ্রম করতে হবে তাঁকে। শুধরে নিতে হবে নিজের বোলিং অ্যাকশন। সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের কারণে তাঁকে আইসিসির নির্বাসনের মুখে পড়তে হয়েছে। এই মুহূর্তে সেই বিষয়ে কাজ করছেন তিনি। পরামর্শ নিচ্ছেন প্রাক্তন ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। প্রতিদিন বল করছেন প্রায় ২০ ওভার করে। অন্যদিকে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ায় মন খারাপ লিটনের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার আগেই নাকি তাঁকে বার্তা দেওয়া হয়েছিল। সাম্প্রতিক কালে সাদা বলের ক্রিকেটে খারাপ ফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে তাঁকে।