ক্যাপ্টেন ব্যাট হাতে একা লড়ছেন। বাকিদের অবদান বলার মতো নয়। ফলে চলতি রঞ্জি ট্রফিতে অসমকে বারবার মাথা নোয়াতে হচ্ছে প্রতিপক্ষের কাছে। ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রথম ম্য়াচে ফলো-অন করে সরাসরি হেরে বসে অসম। কেরলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্য়াচেও ফলো-অনের লজ্জা এড়াতে পারেনি অসম। যদিও কোনও রকমে ম্যাচ ড্র করে ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তারা। এবার অন্ধ্রর বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে ফের হারের মুখ দেখতে হয় অসমকে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, অসম দলনায়ক রিয়ান পরাগ তিনটি ম্যাচেই ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সে নজর কাড়েন। রিয়ান সফল হওয়া সত্ত্বেও অসমের এমন ভরাডুবিই বুঝিয়ে দেয়, ক্রিকেটের মতো দলগত খেলায় কেন সকলের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।
ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে রিয়ান ১১টি চার ও ১২টি ছক্কার সাহায্যে ৮৭ বলে ১৫৫ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে আউট হন। পরে কেরলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রথম ইনিংসে রিয়ান করেন ১১৬ রান। ১২৫ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। এবার অন্ধ্রর বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে রিয়ান ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করেন।
রিয়ান ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ব্যক্তিগত ৭৫ রানে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। ৫৪ বলের মারকাটারি ইনিংসে রিয়ান ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন।
অসম শেষমেশ ১৭২ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরে বসে। ডিব্রুগড়ে শুরুতে ব্যাট করে অন্ধ্র তাদের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে অসম তাদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করে ১৬০ রান। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২৮ রানে পিছিয়ে পড়ে অসম।
দ্বিতীয় ইনিংসে অন্ধ্রপ্রদেশ ৩৩৪ রান সংগ্রহ করে। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে অসমের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৬৩ রানের। শেষ ইনিংসে অসম অল-আউট হয় ১৯০ রানে। শেষ দিনে জয়ের জন্য অসমের দরকার ছিল ২৮২ রান। হাতে ছিল ৫টি উইকেট। তবে চতুর্থ দিনে ১০৯ রান তুলেই নিজেদের শেষ ৫টি উইকেট হারিয়ে বসে অসম।
প্রথম ইনিংসে ২৪ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন অন্ধ্রকে নেতৃত্ব দিতে নামা রিকি ভুই।