দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৫৫ রান তাড়া করে চমক দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৪২ রান তুলেই থামতে হয় তাদের। একই সঙ্গে একাধিক ভুলে ম্যাচ হাতছাড়া করে বাবররা। যার ফলস্বরূপ পাকিস্তানের মাটিতে প্রথমবার সিরিজ জয় করল কিউয়িরা। শুক্রবারের খেলায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চমক ছিল। যার শুরুটা হয় টসে জিতে অতিরিক্ত পেস থাকা উইকেটে পাকিস্তানের প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত দিয়ে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেশ চাপে পড়ে যায় তারা। শুরুর ৩টি উইকেট খুব দ্রুত হারিয়ে ফেলে। তবে অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান (৪৬) এবং সলমন আলি আঘার (৪৫) ব্যাটিংয়ের সুবাদে কোনক্রমে ২৫০ রানের কাছাকাছি পৌঁছয় পাকিস্তান।
২৪৩ রান তাড়া করতে নেমে ৪৫.২ ওভারেই তা করে ফেলে নিউজিল্যান্ড। কিউয়িদের দাপটের পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের খারাপ ফিল্ডিং, অনিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং কিছু খারাপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ। ২৪২ রান ডিফেন্ড করতে নেমে শুধু ১৬টি ওয়াইড বল করেছে পাকিস্তানের বোলাররা। বাবররা টম লাথামের ক্যাচ একবার মিস করেছে এবং একবার DRS না নিয়ে জীবনদান করেছে। সেই সময় ১৩ এবং ১৫ রানে ছিলেন টম। যদি ওই সময় তাঁকে আউট করা যেত, তাহলে ম্যাচের রং অন্যরকম হতে পারত। কারণ, ৬৪ বলে ৫৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন লাথাম।
প্রথম সুযোগটি তৈরি করেছিলেন লেগ স্পিনার আব্রার আহমেদ। সেই সময় ১৩ রানে ব্যাট করছিলেন লাথাম। আবরারের বলে প্যাডেল সুইপ মারতে যান কিন্তু তা সরাসরি প্যাডে লাগে। আপিল করা হলে আম্পায়ার নটআউট দেয়। কিন্তু ভিডিয়ো রিপ্লেতে দেখা যায় সেটি স্পষ্ট এলবিডব্লিউ ছিল। কিন্তু DRS না নেওয়ায় তা পরিবর্তন করা হয়নি।
অন্যদিকে এর কিছুক্ষণ পরেই ক্যাচ মিস করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ব্রডকাস্টারের তরফে এই দুটি ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে এবং ক্যাপশনে লেখা হয়েছে - ‘পাকিস্তান কখনও মজা দিতে পিছুপা হয় না।’ উল্লেখ্য, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে আবার এই নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। তার আগে এই হার থেকে তাদের অনেক কিছু শিক্ষা নিতে হবে এবং পরিকল্পনা বদল করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।