তাড়া করতে হচ্ছে ২০৪ রান। সেই অবস্থায় ২৩ বলে মাত্র ২৫ রান করেছেন তিলক বর্মা। কার্যত ব্যাটে ও বলের সংযোগ হচ্ছে না। তার জেরে অপরপ্রান্ত থেকে সতীর্থরা মারলেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের রিকোয়ার্ড রানরেট ক্রমশ বাড়ছে। সেই পরিস্থিতিতে ১৯ তম ওভারের তাঁকে 'রিটায়ার্ড আউট' করিয়ে দিল মুম্বই। তবে তাতে কোনও লাভ হল না। কারণ শেষ ওভারে ২২ রানের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও নয় রানের বেশি তুলতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়ারা। যে রানটা তোলার দায়িত্বটা কার্যত নিজের কাঁধে তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। এমনকী এক রান নিয়ে মিচেল স্যান্টনারকে স্ট্রাইকও দিতে চাননি। তারপরও মুম্বইকে জেতাতে না পারায় শেষ ওভারের পঞ্চম বলে হতাশায় ব্যাট ছুড়ে ফেলে দেন মুম্বইয়ের অধিনায়ক।
ঠিক কারণেই তিলককে আউট করানো হয়েছে, সাফ কথা হার্দিকের
যদিও তিলককে ‘রিটায়ার্ড আউট’ করার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন হার্দিক। ম্যাচের শেষে সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টসে মুম্বইয়ের অধিনায়ক জানান, তিলককে যে 'রিটায়ার্ড আউট' করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এটা খুব স্বাভাবিক। ক্রিকেটে এরকম এক-একটা দিন আসে, যখন কিছুতেই কিছু হয় না। ব্যাটে-বলে হয় না ঠিকমতো। কিন্তু কেন তিলককে ‘রিটায়ার্ড আউট’ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেটা খুব স্পষ্ট বলে জানান হার্দিক।
এবারের আইপিএলে একেবারেই ছন্দে নেই তিলক
মুম্বইয়ের অধিনায়কের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক শুরু হলেও এবারের আইপিএলে তেমন আহামরি ফর্মে নেই তিলক। প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ২৫ বলে ৩১ রান করেন। আবার গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে যখন ১৯৭ রান তাড়া করছে মুম্বই, তখন তিনে নেমে ৩৬ বলে ৩৯ রান করেন ভারতের তারকা। আর শুক্রবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ২৩ বলে ২৫ রান করেন। পিচটা ব্যাটিংয়ের জন্য খুব সহজ না হলেও তিলক যে ব্যাটে-বলে করতে সমস্যায় পড়ছেন, তা স্পষ্টই ছিল।
তিলক আউট হওয়ার পরে জয়ের আশা জোগান হার্দিক
সেই পরিস্থিতিতে ১৮.৫ ওভারে শার্দুল ঠাকুরের বলে হার্দিক এক রান নেওয়ার পরেই তিলককে আউট করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই। তিলককে আউট না করালে ১৯ তম ওভারের শেষ বলটা খেলার কথা ছিল তাঁরই। যে সময় জয়ের জন্য সাত বলে ২৪ রান দরকার ছিল মুম্বইয়ের। তিলককে ‘রিটায়ার্ড আউট’ করে দেওয়ায় ১৯ তম ওভারের শেষ বলটা খেলেন স্যান্টনার। তিনি দু'রান নেন। ফলে ২০ তম ওভারে স্ট্রাইক পান হার্দিক।