চোটের কারণে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অভিজ্ঞ এবং তারকা ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। টসের সময় দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বলেছিলেন যে, অনুশীলনের সময় তিনি হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন। এই ম্যাচ না খেলতে পারায়, রোহিত শর্মা স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তবে টাইম আউটের সময়ে তিনি মাঠে নেমে পড়েছিলেন। মুম্বইয়ের বোলিংয়ের সময়ে যখন টাইম আউট হয়েছিল, তখন রোহিত মাঠে নেমে আসেন এবং দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে বোলিং নিয়ে পরামর্শ দেন। আর তার পরের বলেই নিকোলাস পুরানের বড় উইকেট তুলে নেন হার্দিক।
আরও পড়ুন: তিলককে রিটায়ার্ড আউট করার সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি, তীব্র বিরোধীতা করেন সূর্য, সেই ভিডিয়ো হল ভাইরাল
রোহিতের পরামর্শে বাজিমাত হার্দিকের
আসলে মুম্বইয়ের বোলিংয়ের সময়ে টাইম আউট হয়েছিল ইনিংসের নবম ওভারে। সেই সময়ে, লখনউয়ের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান তাঁর চেনা ছন্দে ছিলেন। হার্দিক বল করতে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চার এবং একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন পুরান। তখন হার্দিককে দিশেহারা লাগছিল। পুরানের আগে মিচেল মার্শ মুম্বই বোলারদের পুরো ছাতু করেছেন। এডেন মার্করামও কম-বেশি মারছিলেন।
যে কারণে মুম্বই টিম সেই সময়ে বেশ বিপাকে পড়ে গিয়েছিল। বোলাররা উইকেট ফেলতে পারছিলেন না। এর পর হার্দিক পান্ডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন রোহিত শর্মা। হার্দিককে স্লো বল করার পরামর্শ দেন হার্দিক। আর রোহিতের পরমর্শ মেনেই পুরানকে ফাঁদে ফেলেন হার্দিক। অফ স্টাম্পের বাইরে ধীরগতির বাউন্সার দেন হার্দিক। সেই বলে ক্যাচ তোলেন পুরান। আর পুরান আউট হওয়ার পর ডাগআউটে বসা রোহিত আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন। ৬ বলে ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন পুরান।
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
লখনউ সুপার জায়ান্টস টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৩ রান করে। লখনউয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মিচেল মার্শ। ৩১ বলে ৬০ রান করেন তিনি। এছাড়া হাফসেঞ্চুরি হাঁকান এডেন মার্করামও। তাঁর সংগ্রহ ৩৮ বলে ৫৩ রান। আয়ুষ বাদোনি করেন ১৯ বলে ৩০ করেন, ডেভিড মিলার ১৪ বলে ২৭ করেন। মুম্বইয়ের হয়ে ৫ উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া।
আরও পড়ুন: ওকে সময় দেওয়া দরকার… রোহিতের চোটের আপডেট দিলেন MI কোচ, শীঘ্রই বুমরাহ দলে যোগ দেবেন, আশাবাদী হার্দিক
সেই রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯১ রান করে মুম্বই। ১২ রানে তারা ম্যাচটি হেরে যায়। এদিন সূর্যকুমার যাদবের হাফসেঞ্চুরি কাজে আসল না। ৪৩ বলে ৬৭ করেন স্কাই। এছাড়া ২৪ বলে ৪৬ করেন নমন ধীর। ২৩ বলে ২৫ করেন তিলক বর্মা। হার্দিক পান্ডিয়া শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ২৮ করে অপরাজিত থাকেন। তবে দলকে জেতাতে পারেননি।