পুরোদমে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রস্তুতি রবিবার থেকে শুরু করে দিল টিম ইন্ডিয়া। এদিন আইসিসি অ্যাকাডেমিতে অনুশীলনে নেমে পড়ল রোহিত শর্মা ব্রিগেড। ভক্তদের আবেগ, ক্যামেরার ঝলকানি, প্রিয় তারকাদের দেখার আকাঙ্খা- সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ঘিরে দুবাইয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে। ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে টিম ইন্ডিয়া এই টুর্নামেন্টে অভিযান শুরু করবে। তার অনেক আগে থেকেই টিম ইন্ডিয়াকে ঘিরে দুবাই একেবারে ক্রিকেট জ্বরে আচ্ছন্ন।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়ন্স লেখা একটি নীল টিম বাসে করে ভারতীয় দল আইসিসি অ্যাকাডেমিতে প্রবেশ করে। এখানেই নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করল মেন ইন ব্লু। অনুশীলন শুরুর আগে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরকে সম্ভবত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। সেই আলোচনায় পরে যোগ দেন বোলিং কোচ মর্নি মর্কেলও।
আরও পড়ুন: এটা সত্যিই কঠিন… রান-আউট বিতর্ক নিয়ে MI কোচ মুখ খুলতেই আগুনে ঘৃতাহুতি
তবে এদিন সকলের দৃষ্টি ছিল তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলির দিকে, যিনি তাঁর কিটব্যাগ গুছিয়ে উঠতেই প্রায় ৩০ মিনিট লাগিয়ে দেন। কোহলি বেশ কিছু ব্যাট নিখুঁত ভাবে পরীক্ষা করে নিচ্ছিলেন। এর পর নিজের সই করা লাল কিট ব্যাগটিকে টেনে নিয়ে তাঁকে মাঠে ঢুকতে দেখা যায়।
দু'বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি বিজয়ীরা ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে শুরু করার পর, ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে মুখোমুখি হবে। ২ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে টিম ইন্ডিয়া। ১৯৯৮ সালে এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে, ভারত দু'বার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে।
আরও পড়ুন: দরজায় কড়া নাড়ছে Champions Trophy, এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসটা জানা আছে? কী কী রেকর্ড রয়েছে জানেন?
প্রথম শিরোপাটি ২০০২ সালে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জিতেছিল ভারত। সে বার কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচটি ছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে সেই ম্যাচ ভেসে যাওয়ার পর ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে যৌথ বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় বার ২০১৩ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে জয় চিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ২০১৭ সালে আবার ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠেছিল, কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে হেরে গিয়ে রানার্স হয়েই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে। আটটি দল- সব মিলিয়ে ১৫টি ম্যাচ। আটটি দলকে দু'টি গ্রুপে রাখা হয়েছে। গ্রুপ পর্বে তিনটি করে ম্যাচ। চারটি দলের মধ্যে শীর্ষ দুই দল সরাসরি সেমিফাইনালে উঠবে। ফলে গ্রুপ পর্বে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই বললেই চলে। তিনটের মধ্যে একটা ম্যাচ হারা মানেই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া। এমন কী টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকেও যেতে হতে পারে। ভারতের সামনেও কিন্তু এবার কঠিন লড়াই।