রবিবার (৯ মার্চ) ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত তাদের তৃতীয় শিরোপা জিতে রেকর্ড করেছে। রোহিত শর্মা ব্রিগেড অপরাজিত থেকে এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১২ বছরে প্রথম আইসিসি-র ৫০-ওভারের টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতল টিম ইন্ডিয়া।
শিরোপা জয়ের পর ভারতীয় দল বাঁধনহীন উচ্ছ্বাসে সেলিব্রেশন শুরু করে দেয়। তবে সব কিছুর মাঝে যেটা সকলের নজর কেড়েছে, তা হল টিম ইন্ডিয়ার প্লেয়ারদের সাদা জ্যাকেট পরে সেলিব্রেশন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টিম ইন্ডিয়ার হাতে তুলে দেওয়ার আগে, প্রথা অনুযায়ী চ্যাম্পিয়নদের পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাদা জ্যাকেট। যার চেস্ট পকেটে ছিল টুর্নামেন্টের লোগো। আসলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঐতিহ্য অনুসারে, বিজয়ী খেলোয়াড়দের ‘সাদা ব্লেজার’ দেওয়া হয় এবং তাঁরা সেলিব্রেশনের সময়ে সময় এটি পরেন। এই ব্লেজারগুলি বিজয়ীদের কাছে আজীবন স্মারক হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি সম্মানের প্রতীক হিসেবেও থেকে যায়।
আরও পড়ুন: Champions Trophy জয়ের এক দিন পর অবসর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় বার্তা জাদেজার
‘জ্যাকেটটাও পরতে পারিস না’
তবে এই সাদা জ্যাকেট পরতে গিয়েই কুলদীপ একেবারে ‘ঘেঁটে ঘ’ হয়ে যান। বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি সমস্ত প্লেয়ারদের জ্যাকেটগুলি পরিয়ে দিচ্ছিলেন। আর সেই জ্যাকেট নেওয়ার জন্য রোহিত শর্মার আগে কুলদীপ যাদব পোডিয়ামে উঠেছিলেন।
কুলদীপ জ্যাকেটটি পরার সময়ে, ডান হাতটা ঢুকিয়ে ফেললেও, বাঁ-হাত নিয়ে বেশ কসরত করতে থাকেন। কিছুতেই বাঁ-হাতটা ঢোকাতে পারেছিলেন না। তখন পোডিয়ামের নীচে অপেক্ষা করছিলেন রোহিত। ক্যামেরা তাঁর দিকে ঘোরালে দেখা যায়, তিনি কুলদীপের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছেন। দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি কুলদীপকে মনে মনে গালাগাল দিচ্ছেন। হয়তো বলছেন, ‘জ্যাকেটটাও ঠিক করে পরতে পারিস না!’ কুলদীপের এই হাস্যকর কাণ্ড, আর রোহিতের প্রতিক্রিয়া নেটপাড়ায় হুহু করে ভাইরাল হয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বারবার রোহিতের বকুনি খেয়েছেন কুলদীপ
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বহুবার রোহিত শর্মার কাছে বকুনি খেয়েছেন কুলদীপ যাদব। তবে বেশির ভাগ সময়ে মিসফিল্ড করার জন্য বা ফিল্ডিংয়ের সময়ে গা-ছাড়া ভাব দেখানোর জন্যই রোহিতের গালাগাল হজম করতে হয়েছে কুলদীপকে। তবে রোহিতের এমন বকুনি প্লেয়ারদের মোটেও গায়ে লাগে না। কারণ তরুণদের মধ্যে রোহিত একজন জনপ্রিয় নেতা। তিনি প্রায় সময়েই তরুণ খেলোয়াড়দের তিরস্কার করে থাকেন, তবুও তরুণ খেলোয়াড়দের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং সৌহার্দ্য তাঁকে ড্রেসিংরুমে একজন জনপ্রিয় নেতা করে তুলেছে। তাই রোহিতের বকুনি খেয়েও তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুলদীপ যাদবও।
অধিনায়ককে নিয়ে কী বলেছেন চায়নাম্যান বোলার
চায়নাম্যান বোলার অধিনায়ককে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। কুলদীপ বলেছেন, ‘চার স্পিনারকে ম্যানেজ করা খুবই কঠিন এবং ও যেভাবে ম্যানেজ করেছে, তা সত্যিই আশ্চর্যজনক। যখন চার জন স্পিনার একসঙ্গে খেলছে, তখন তাদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বল দেওয়াটা খুবই কঠিন কাজ। পরিকল্পনা তো ছিলই। আমরা ৪ মার্চ দুবাইয়ে আমাদের শেষ খেলাটি খেলেছিলাম এবং চার বা পাঁচ দিনের বিরতি পেয়েছিলাম। সেই সময়ে আমরা আলোচনা করতাম, কী ভাবে এই ফাইনাল ম্যাচে আমরা এগোব। ’