ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত লড়াই চালান অর্জুন তেন্ডুলকর। তা সত্ত্বেও গুজরাটের বিরুদ্ধে দলের হার বাঁচাতে পারেননি তিনি। লিগের শেষ ম্যাচ থেকে পয়েন্ট কুড়োতে না পারার মাশুল দিতে হয় হয় গোয়াকে। রঞ্জির এলিট-সি গ্রুপের একেবারে শেষে থেকে প্লেট গ্রুপে নেমে যায় তারা।
যদিও এক্ষেত্রে ভাগ্যের হাতে মার খেতে হয় গোয়াকে। কেননা এবারের রঞ্জিতে চণ্ডীগড়ের পারফর্ম্যান্স গোয়ার থেকেও খারাপ। তবে একাধিক ভেস্তে যাওয়া ম্যাচ থেকে পয়েন্ট কুড়োনোয় চণ্ডীগড় কোনও রকমে টিকে যায় এলিট গ্রুপে।
৭ ম্যাচে গোয়া সংগ্রহ করে মোটে ৪ পয়েন্ট। তারা চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ড্র ম্যাচে প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার সুবাদে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। এছাড়া কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ড্র ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পকেটে পোরে গোয়া। ত্রিপুরা, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, রেলওয়েজ ও গুজরাটের কাছে হেরে বসে তারা।
অন্যদিকে চণ্ডীগড় পাঁচটি ড্র ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করে। যদিও কোনও ম্যাচেই প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারেনি তারা। আবহাওয়ার বদান্যতায় মাঝপথেই ভেস্তে যাওয়া ২টি ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করে চণ্ডীগড়। আরও একটি ড্র ম্যাচে প্রকৃতির সৌজন্য হার বাঁচায় তারা। অর্থাৎ, আবহাওয়া সঙ্গ না দিলে গোয়ার বদলে প্লেট গ্রুপে নেমে যেতে পারত চণ্ডীগড়।
গুজরাটের বিরুদ্ধে শেষ গ্রুপ ম্যাচে গোয়া ৭ উইকেটে পরাজিত হয়। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে গোয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান তোলে। দর্শন মিশাল ৮৯, অর্জুন তেন্ডুলকর ৪৫ ও মোহিত রেডকর ৮০ রান করেন। ৩টি উইকেট নেন গুজরাটের চিন্তন গাজা।
পালটা ব্যাট করতে নেমে গুজরাট তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৪৬ রান তোলে। প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল ১৭১ রান করেন। ৩৭ রান করেন উমঙ্গ কুমার।অর্জুন তেন্ডুলকর ৪৯ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২৯ রানের সংক্ষিপ্ত লিড নেয় গুজরাট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে গোয়া ১৪৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দর্শন মিশাল ৩৯ রান করেন। অর্জুন তেন্ডুলকর ১৪ রান করে দুর্ভাগ্যজনক রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি উইকেট নেন চিন্তন গাজা।
শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট ৩ উইকেটে ১১৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৪৬ রানে নট-আউট থাকেন হেত প্যাটেল। অর্জুন দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ১টি উইকেট নেন। সুতরাং, ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে অর্জুন ৫৯ রান করার পাশাপাশি ৫টি উইকেট সংগ্রহ করেন।