জনগণের টাকায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে সরকার। এতদিন এই অভিযোগ করে আসছিল বিরোধীরা। এবার সেই প্রতিধ্বনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের গলায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবিলম্বে সেই বিজ্ঞাপন তুলে নেওয়ার আর্জি জানালেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের নামে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় তাণ্ডব চলছে। তা রুখতে সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তাতে মুখ্যমন্ত্রী শান্তিরক্ষার আবেদন জানান। শেষে আশ্বস্ত করে বলেন, এ রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী চালু করতে দেবেন না তিনি।আজ সাংবাদিক বৈঠক করে এনিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীকে বিজ্ঞাপন তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। সরকারের টাকায় কীভাবে এটা করতে পারেন? এটা অত্যন্ত দোষের। জনসাধারণের টাকা ব্যবহার করে কীভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রধান দেশের আইনের বিরোধিতা করতে পারেন?"পাশাপাশি, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঘুরিয়ে নবান্নের দিকেই আঙুল তোলেন তিনি। তিনি বলেন, "রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। যে হিংসা চলছে, তা মানা যায় না। জনগণ সংকটের মধ্যে রয়েছে। পুলিশ এরকম পরিস্থিতির আঁচ করতে পারত। পরিস্থিতি আগেই নিয়ন্ত্রণে আনা যেত। পুলিশের আরও কড়া হওয়া উচিত ছিল।"রাজ্যপালের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যের শাসকদল রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। অশান্ত সময়ে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের প্রশাসনে মনোনিবেশ করার আর্জি জানান তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে রাজ্যপাল বলেন, "সমান্তরাল সরকার চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজ্যবাসী জানেন, কে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছেন।"