ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল ৪ বছরের ছোট্ট মেয়ের। তার ডান পায়ের গোড়ালির সংযোগস্থল থেকে কেটে গিয়েছিল। শুধুমাত্র চামড়া লেগে থাকায় কোনওভাবে ঝুলছিল পায়ের পাতা। কেটে যাওয়া সেই পায়ের পাতা জুড়ে দিয়ে শিশুকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিল হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, ৪ বছরের ওই শিশুর নাম হাসি মোল্লা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আর কয়েক দিনের মধ্যেই ওই শিশু বাড়ি ফিরতে পারবে।
আরও পড়ুন: ফুসফুসে আটকে গিয়েছিল ভুট্টার বীজ, ৬ বছরের শিশুর প্রাণ বাঁচল SSKM-এ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে , দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ষষ্ঠীর সন্ধ্যায়। বাবার সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল ছোট্ট হাসি। সে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা। সেই সময় জয়নগরে দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল ছোট্ট শিশুটি। মোটর ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তার পায়ের গোড়ালির নিচ থেকে কেটে যায়। প্রথমে তাকে নিমপীঠ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বারুইপুর হাসপাতালে। পরে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। অবশেষে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে রাত ১১ টার সময় তাকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তাকে ট্রমা ক্রেয়ারে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, সেই সময় শিশুর পায়ের পাতা ঝুলছিল। এই অবস্থায় শিশুর পায়ের পাতা জোড়ার জন্য অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অরিন্দম সরকার জানান, অস্থি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মুকুল ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল গঠন করা হয়। সেখানে শিশুর পায়ের যাবতীয় পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার পায়ের হাড়, স্নায়ু, টেন্ডন, ধমনী সবই কেটে গিয়েছে। তারপর ষষ্ঠীর রাত ২টো থেকে অস্ত্রোপচার শুরু হয়। হাড় জোড়েন, অস্থিরোগ চিকিৎসক অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়, কিরণ্ময় ঘোষ এবং শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়।স্নায়ু, টেন্ডন ও ধমনী জোড়েন প্লাস্টিক সার্জন কল্যাণ দাস ও সন্দীপ বসুর তত্ত্বাবধানে সুশোভন সাহা, নেহা আগারওয়াল, দীপস্মিতা শর্মা ও শর্বরী কুণ্ডু । বর্তমানে ওই শিশু সুস্থ রয়েছে।