মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলার পড়ুয়াদের জন্য একাধিক প্রকল্প এনেছেন। যা বাংলার পড়ুয়ারা পেয়ে খুশি। সেটা সবুজ সাথীর সাইকেল থেকে শুরু করে স্কুলের পোশাক, বই, ট্যাব এমনকী উচ্চশিক্ষার জন্য স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পর্যন্ত মিলছে পড়ুয়াদের। এবার আর একধাপ এগিয়ে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। আর সেটা হল ছাত্রছাত্রীদের জন্য কম খরচে খাতা বিক্রি করবে রাজ্য সরকার। তার জন্য উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নিয়েছে ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প দফতর। তিন রকমের খাতা আপাতত নিয়ে আসা হচ্ছে। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘শিক্ষাসাথী’। খাতাগুলিতে রাজ্য সরকারের আনা পড়ুয়াদের জন্য সামাজিক প্রকল্পগুলি লেখা থাকবে। এই খবর চাউর হতেই পড়ুয়াদের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে।
এই খাতা ছাপা হবে ‘শিল্পবার্তা প্রিন্টিং প্রেস লিমিটেড’ প্রকাশনা সংস্থায়। এই সংস্থা রাজ্য সরকারের অধীন। আগে এখানে নানা বিষয় ছাপানো হতো। পরে সরস্বতী প্রেস চালু হলে বরাত অনেকটাই কমে যায়। এবার ‘শিল্পবার্তা প্রিন্টিং প্রেস লিমিটেড’ সংস্থা আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। তারপরই ঠিক হয়েছে এখানে খাতা ছাপা হবে পড়ুয়াদের জন্য। যা সস্তায় পাওয়া যাবে। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে শিল্পবার্তা। এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির লাভের অঙ্ক আরও বাড়াতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাতা ছাপানো এবং বিক্রি দুটোই হবে। যাতে পড়ুয়াদের বেশি দাম দিয়ে বাজার থেকে খাতা কিনতে না হয়।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে মুখ্যমন্ত্রীর সব গান নিয়ে বিশেষ কনসার্ট, গাইবেন সেই প্রতিথযশা শিল্পীরা
এখন বাজারে যেসব সংস্থার খাতা পাওয়া যায় তার দাম বেশ চড়া। সস্তায় কোনও খাতা কেনা যায় না। এই কথা জানতে পেরে বিকল্প পথ হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে। এমএসএমই দফতর সূত্রে খবর, ‘শিক্ষাসাথী’ প্রকল্পে আপাতত তিন ধরনের খাতা নিয়ে আসা হচ্ছে। তার মধ্যে দু’টি খাতা ১৬০ পাতার। যেগুলির দাম ৭০ টাকা করে। আর ১০০ পাতার একটি খাতার দাম ৩৭ টাকা। তবে বাজারে এই খাতার দাম আরও অনেক বেশি। নবান্ন সূত্রে খবর, বাজারে যে প্রিমিয়াম গুণমানের খাতা মেলে, এগুলি সেই ধাঁচেই তৈরি করা হচ্ছে। তবে দাম তুলনায় অনেক কম। মঞ্জুষার স্টলগুলিতে এবং কনজিউমার কো–অপারেটিভ শোরুমে মিলবে এই খাতা।
এই খাতা আরও পাওয়া যাবে সরকারি মেলাগুলিতে। আগামী দিনে রেশন দোকান থেকেও এই খাতা মিলবে। সেটার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা যে খাতা নিয়ে আসছি তার গুণগত মান অনেক ভাল। সেই খাতাগুলি মঞ্জুষার স্টলগুলিতে পাওয়া যাবে। আর পরে তা রেশন দোকান থেকেও বিক্রির পরিকল্পনা আছে। পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের যে প্রকল্পগুলি আছে খাতায় সেগুলি উল্লেখ করা থাকবে। যাতে পড়ুয়ারা প্রয়োজন মতো সেই প্রকল্পগুলি নিতে পারে।’