আরজি কর মামলায় যে সিবিআই তদন্তে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন, তা আগেই জানিয়েছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা-বাবা। এই আবহে তাঁরা আালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে এই মামলা হাই কোর্ট শুনতে পারবে কি না, তা নিয়ে দেখা দিয়েছিল আইনি জটিলতা। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সেই মামলায় আজ বড় নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। আরও তদন্ত চেয়ে নির্যাতিতার পরিবার যে মামলা করেছে, কলকাতা হাই কোর্টে সেটি শুনতে পারবে। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য, সেই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীও। (আরও পড়ুন: SC-র বিচারপতি হিসেবে শপথ জাস্টিস বাগচীর, ক'দিনের মেয়াদে ২০৩১-এ CJI হবেন তিনি?)
আরও পড়ুন: দিল্লিতে তুলসির সঙ্গে বৈঠকে ডোভাল, গোপনে 'ভারত-বিরোধীদের' নিয়ে আলোচনা
এর আগেও আরজি কর ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় নতুন করে তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। তবে পরে সেই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন তাঁদের আইনজীবী করুণা নন্দী। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে মামলাটি শুরু করেছিল, তাতেই 'ইন্টারভেনশন অ্যাপ্লিকেশন' হিসেবে এই আবেদন করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। সেই সময় দেশের শীর্ষ আদালতে আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মায়ের পক্ষের আইনজীবীকে জানান, কলকাতা হাই কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলা চলছে। এই অবস্থায় এই মামলাটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। (আরও পড়ুন: ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে যন্তর মন্তরে হবে বিক্ষোভ; 'অগণতান্ত্রিক', বললেন জগদম্বিকা)
প্রসঙ্গত, এর আগে সিবিআই তদন্ত নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে উচ্চ আদালতের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে সেই আবেদন করা হয়েছিল। সেই সময় উচ্চ আদালতের বিচারপতি নির্যাতিতার পরিবারের সেই আবেদন শুনতে চাননি। কারণ সুপ্রিম কোর্টেও আরজি কর মামলা চলছিল। এই আবহে শীর্ষ আদালতেও একই আবেদন করেন নির্যাতিতার মা-বাবা। তা নিয়েই ২৯ জানুয়ারি শুনানি হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। এই শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'পরিবারের আবেদনের বিষয়গুলি বিতর্কসাপেক্ষ। তা নিয়ে দু'তরফের সওয়াল শুনতে হবে। শুনানি করলে মূল মামলায় তার যথেষ্ট প্রভাব থাকবে। ফলশ্রুতিও দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।' এদিকে তিনি এও প্রশ্ন করেন, 'কলকাতা হাই কোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি নিয়ে আসুন, এখানে মামলা রাখতে চাইছেন না কি কলকাতা হাই কোর্টে?'