হাতে আর দু’দিন বাকি। তারপরই পালিত হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। ওই দিনে নানা কর্মসূচি করা হবে বাংলায়। তবে কন্যাশ্রী প্রকল্প বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। তাই এবার এই কন্যাশ্রী প্রকল্পকে ‘এআই’ প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছে বাংলার সরকার। যাতে এই প্রযুক্তিকে সামনে রেখে বাল্যবিবাহ এবং স্কুলছুট রোখা যায়। কন্যাশ্রী প্রকল্পে এখন এই ‘এআই’ যুক্ত করে সুবিধা দিতে চাইছে রাজ্য সরকার। এমনকী এই প্রকল্পের একজন আবেদনকারীকেও যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয় তার জন্য নয়া উদ্যোগ নিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
এদিকে কন্যাশ্রী এক প্রকল্পের অধীনে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের ছাত্রী যারা অবিবাহিত তাদের ১ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয় রাজ্য সরকার। আর কন্যাশ্রী দুই প্রকল্পে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত অবিবাহিত থেকে যেসব ছাত্রীরা পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেয় রাজ্য সরকার। কন্যাশ্রী প্রকল্প এই কারণেই বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে। কারণ এই প্রকল্পই নারী ক্ষমতায়ন এবং নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে চলেছে। এই প্রকল্পের আওতায় লক্ষাধিক ছাত্রী রয়েছে। আর তা প্রত্যেক বছর বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন: ‘গড়িমসির জন্য বাংলার ভবিষ্যৎ যেন বিপন্ন না হয়’, শিল্প বৈঠক থেকে কড়া বার্তা মমতার
অন্যদিকে এখন মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের খরচের কথা ভাবতে হয় না। আর তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের থেকে সেরার শিরোপা পেয়েছিল কন্যাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্প পেতে যাতে মেয়েদের কোনও অসুবিধা না হয় তাই ‘এআই’ বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যুক্ত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে স্টুডেন্টস উইক অনুষ্ঠান থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্প পেতে কোনও ছাত্রীর যাতে অসুবিধা না হয় সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই এই পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কাগজপত্র তথা তথ্য আপলোডের ক্ষেত্রে মেয়েরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়ে তাই ‘এআই’ প্রযুক্তি যুক্ত করা হচ্ছে।