শর্তসাপেক্ষে হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর জানিয়েছেন, যে যে শর্ত দেওয়া হচ্ছে, সেগুলি মেনে রামনবমীর মিছিল করতে পারবে অঞ্জনী পুত্র সেনা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তবে ধাতু দিয়ে তৈরি কোনও অস্ত্র নিয়ে আসা যাবে না মিছিলে। সেইসঙ্গে কোন সংগঠন কতক্ষণ মিছিল করতে পারবে, তাতে কতজন অংশগ্রহণ করতে পারবেন, তা একেবারে বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। আর সেই রেশ ধরেই দুর্গাপুজোর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন বিচারপতি ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দুর্গাপুজোয় কোথাও গন্ডগোল হলে কি পুরো পুজোই বন্ধ করে দেওয়া হবে?
রামনবমীর মিছিলের জন্য হাইকোর্টে মামলা
আর সেই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই রামনবমীর মিছিলের অনুমতি দেওয়ার কারণ যে লুকিয়ে আছে, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। যে মিছিল নিজেদের নির্ধারিত রুটেই করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল অঞ্জনী পুত্র সেনা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দুই সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, তারা যে রাস্তা দিয়ে মিছিল করতে চাইছে, তা প্রশাসন বদলে দিচ্ছে। নিজেদের নির্দিষ্ট রুট ধরেই রামনবমীর মিছিল করার অনুমতি চায় হাইকোর্টে।
কোন কোন শর্ত মেনে চলতে হবে?
সেই পরিস্থিতিতে হাওড়া স্থানীয় মানুষরাও হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সবপক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পরে শুক্রবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, শর্তসাপেক্ষে মিছিল করতে পারবে অঞ্জনী পুত্র সেনা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। হাইকোর্ট কী কী শর্ত বেঁধে দিয়েছে, তা দেখে নিন -
১) ধাতুর তৈরি কোনও অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা যাবে না। মিছিলে অংশগ্রহণকারী কারও কাছে সেই অস্ত্র রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
২) অঞ্জনী পুত্র সেনা সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত মিছিল করতে পারবে।
৩) বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মিছিল শুরু করতে পারবে দুপুর ৩ টে থেকে। সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত মিছিল করতে পারবে।
৪) অঞ্জনী পুত্র সেনা এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মিছিলে যাঁরা অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছে পরিচয়পত্র (আই-কার্ড) থাকতে হবে।
৫) অঞ্জনী পুত্র সেনা হোক বা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ - কোনও সংগঠনেরই মিছিলে ৫০০ জনের বেশি যোগ দিতে পারবেন না। অর্থাৎ মোট ১,০০০ জন মিছিল করতে পারবেন।
৬) হাইকোর্ট জানিয়েছে, পিভিসি দিয়ে তৈরি ধর্মীয় প্রতীক আনা যাবে রামনবমীর মিছিলে।