আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়েছেন। ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে মুর্শিদাবাদ যান তিনি। এই জেলাতেই ওয়াকফ সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে কদিন আগে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠে। তবে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আর তাই সেখানে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অশান্তির বিরুদ্ধে বলে নিজেই সে কথা জানিয়েছেন। তিনদিনের মুর্শিদাবাদ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ।
আজ, সোমবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ। আর সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদ সফর নিয়ে খোঁচা দেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সমস্ত পোড়া দাগ, ক্ষতচিহ্নকে সরিয়ে ফেলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সময় দিয়েছেন। মন্দির ও বাড়ি সারাই করতে তাঁর অফিসাররা ছুটছেন। মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার আগে যেন কোনও দাঙ্গার ক্ষতচিহ্ন সেখানে না থাকে। যেসব গাড়ি পুড়েছে সেসব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সবকিছু ধামাচাপা দিয়ে উনি দেখাবেন যে কিছুই হয়নি। ওনার দলের নেতারা যেমন বলেন ভুল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘পূর্ণম সাউকে ফেরাতেই হবে’, মুর্শিদাবাদে যাওয়ার পথে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ালেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেছেন। আর ক্ষতিপূরণও দেন। সকলের পাশে থাকার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দিলীপ ঘোষ এইসবের বিরোধিতা করেছেন। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, ‘এখন আর মানুষের ক্ষত দূর হবে না। উনি যদি দু’একদিনের মধ্যে যেতেন, লোক ওনাকে বিশ্বাস করতে পারত। এখন মুর্শিদাবাদের লোক আর বিশ্বাস করে না। কারণ তাঁরা বারবার প্রতারিত হচ্ছেন। সুযোগ পেলেই হিন্দুদের বাড়ি ছাড়া করা হয়। তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে।’ এই হিংসার পিছনে বহিরাগতরা রয়েছে বলে সিট তদন্ত করে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে।