আরও একবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় বিশৃঙ্খলা। সিতাইয়ের পর এবার মাথাভাঙা। কোচবিহারের মাথাভাঙায় ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’কর্মসূচির মধ্যে প্রথম দিনেই পর পর বিশৃঙ্খলার ঘটনা। মাথাভাঙায় অভিষেকের সভা শেষে তৃণমূলের টি শার্ট নিয়ে কাড়াকাড়ি থেকে শুরু হয় বিশৃঙ্খলার। পরে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ দেখা যায়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ে গোপন ব্যালটে ভোট দেওয়া নিয়েও ঝামেলা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে।
বেলায় সিতাই, পরে মাথাভাঙা। কোচবিহারে তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভোট কেন্দ্রিক কর্মসূচি ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’এর মধ্যেই পর পর বিশৃঙ্খলা। অভিযান শুরুর প্রথম দিনেই অভিষেকের পর পর সভায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দেখা যায়। মঙ্গলবার বেলা গড়াতে মাথাভাঙার কলেজ ময়দানে ছিল অভিষেকের সভা। সেখানে সভার পর টি শার্ট বিতরণ হচ্ছিল। টি শার্ট নিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলের টি শার্ট নেওয়ার তাড়াহুড়োর চোটে পরনের পোশাক ছেঁড়াছিঁড়ি শুরু হয়ে যায় সেখানে। টিশার্ট ঘিরে এমন পরিস্থিতি সামলাতে মোতায়েন হয় পুলিশ। পুলিশ গিয়ে সেখানের পরিস্থিতি বাগে আনে। জানা গিয়েছে, অভিষেকের মাথাভাঙার সভার পরও ছিল তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট। তা ঘিরে চলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। ফলত, ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ এর প্রথম দিনেই ঘাসফুল শিবিরে পর পর ধাক্কা দুই সভায়। এর আগে, সাহেবগঞ্জের সভা শেষে সিতাই গোঁসানিমারি হাই স্কুলের মাঠে সভা করতে যান অভিষেক। সেখানে কর্মীদের উদ্দেশে পঞ্চায়েত ভোটের রণনীতি নিয়ে ঝোড়ো বার্তা দেওয়ার পর সভা শেষ করে বেরিয়ে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক। এরপর অভিষেক বেরিয়ে যেতেই সভা মঞ্চে তুমুল বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সেখানে ব্যালটের বক্স নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। দূরে পড়ে থাকে ব্যালটের ভাঙা বক্স। তার মাঝখান থেকে ভোটের কাগজ নিয়ে অনেকেই চলে যান। বাকিরা দাবি করেন ব্যালট তাঁদের ফেরত দিতে হবে। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর ব্যাপক মারপিট শুরু হয়।
সেতাইতে পুলিশের সামনে ব্যালট বক্স ভেঙে ফেলতে দেখা যায় উপস্থিত জনতাকে। এদিকে, অভিষেক বলেন, অত্যপৎসাহীরা ভোট দিতে গিয়ে তা ভেঙে ফেলেন। তবে অভিষেক ব্যালটবক্স ভাঙা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, যদি কেউ মনে করেন, ব্যালটবক্স ভেঙে নিজের পছন্দের প্রার্থীর নাম ঢোকাবেন, তাহলে তিনি ‘মূর্খের স্বর্গে বাস করছেন’।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক