আলিপুরদুয়ারে দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার কালো পতাকা দেখলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে শুনতে হল ‘গো ব্যাক’। কনভয়ের ওপর হামলা চালাল বিক্ষোভকারীরার। দিলীপ ঘোষের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে ইট, পাথর। অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন তিনি। ভেঙে গিয়েছে বেশ কয়েকটি গাড়ির কাচ। সরাসরি তৃণমূল ও বিমল গুরুং–পন্থী মোর্চার সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এ সব ভয় পায় না।এদিন আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁয় কর্মসূচি সেরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘জয়গাঁয় সভা ছিল। ওখানেই যাচ্ছিলাম। রাস্তায় লোকজন কালো পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তা হতেই পারে। ‘গো ব্যাক’ও বলতে পারে। কিন্তু ইট–পাটকেল মারা মেনে নেওয়া যায় না। গাড়ির কাঁচ ভেঙে দিয়েছে। যাঁরা বাইকে ছিলেন তাঁদের কারও কারও চোট লেগেছে। আমরা ঠিক আছি। সভাও ঠিকঠাক হয়েছে। চলে এসেছি। তৃণমূল যদি মনে করে এভাবে ভয় দেখিয়ে বিজেপি–কে দমিয়ে দেবে, তা কিন্তু হবে না। আমরা ভয় পাই না।’এদিন ফের রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করার প্রসঙ্গ উস্কে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করছেন রাজ্যে ৩৫৬ ধারা চালু হবে কিনা! আমার মনে হয়ে এভাবে হিংসা ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ইচ্ছে করেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করতে চাইছে তৃণমূল। রাস্তায় বেরনো যাবে না, রাজনৈতিক কর্মসূচি করা যাবে না— এটা তো কোনও গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। এটা কল্পনাও করা যায় না। এর আগেও আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আবার হল।’দিলীপ ঘোষের কথায়, ‘গ্রামে গ্রামে, বুথে বুথে যেভাবে আমরা পৌঁছে গিয়েছি, তা দেখে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। তাই এভাবে হামলা চালাচ্ছে দিনের পর দিন।’ কারা হামলা চালিয়েছে জানতে চাওয়া হলে দিলীপ ঘোষ জানান, তৃণমূল ও অন্য কিছু সমাজবিরোধী দল এদিনের ঘটনা ঘটিয়েছে।এদিনের ঘটনার নিন্দা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। কোচবিহারে এদিন তিনি বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক দলের সভাপতির সঙ্গে আজ কী হয়েছে তা আমি জানি না। কিন্তু আমি বলব যে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির ওপর যদি এভাবে হামলা চালানো হয় তা নিন্দনীয়। যে কোনও রাজনৈতিক হিংসাকে আমি নিন্দা জানাই।’