তাঁর সঙ্গে পাহাড়ের রক্তের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। তাই পাহাড়ের যাবতীয় কাজ করার দায়িত্ব তাঁর। সমস্যার সমাধান তিনিই করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, শুক্রবার একাধিক প্রকল্পের সূচনা এবং শিলান্যাস করে এই কথাই জানান। এবার পাহাড় সফরে এসে জিটিএ’র জন্য ঢালাও অর্থ বরাদ্দ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার কার্শিয়াংয়ে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ’র জন্য ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করলেন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই এই ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে জিটিএ কর্মীদের বেতন কাঠামোর পরিবর্তন থেকে শুরু করে গ্র্যাচুইটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই ঘোষণার পর উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। এতদিন এই কথা কেউ বলেননি। আবার জিটিএ নিয়ে এমন ভাবনা আগে কেউ ভাবেননি। জিটিএ গঠন থেকে শুরু করে পাহাড়ের উন্নয়নে বারবার ছুটে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল চা–শ্রমিকদের পোশাক পরে চা–বাগানে গিয়ে চা–পাতা তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই জেনে নেন নানা অভাবের কথা। জিটিএ’তেও কিছু অভাব ছিল বলে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন।
অন্যদিকে এই আবহে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তখন বিজেপি নেতারা এখানে এসে জিটিএ নিয়ে নানা কথা বলতে পারেন। এবার সেই সুযোগই দিলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই কার্শিয়াংয়ের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘আমার রক্তের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে পাহাড়ের সঙ্গে। জিটিএ–কে তাই আরও ৭৫ কোটি টাকা দিচ্ছি। জিটিএ’র কর্মচারিদের আমরা অবসরকালীন সবরকম সুবিধা দিচ্ছি। যাঁরা অবসর নেবেন ২০ লক্ষ টাকা করে গ্র্যাচুইটি পাবেন। ১০ মাসের লিভ এনক্যাশমেন্ট পাবেন। যে রেগুলার কর্মচারি আছেন ২০০৯ ও ২০১৯ সালের পে কমিশন অনুযায়ী তাঁদের বেতন পরিবর্তন হবে।’
আরও পড়ুন: ‘পাহাড়ের উন্নয়নের দায়িত্ব আমার’, ভরা সভা থেকে শান্ত থাকার বার্তা দিলেন মমতা
এছাড়া আরও কিছু সুবিধা পাবেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। জিটিএ’কে আরও সুবিধা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে পাহাড়ের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলিকে বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পাহাড়বাসীর জন্য একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করে উন্নয়ন অস্ত্রেই শান দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রিজিওনাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এবার জিটিএ’র অধীনস্থ স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগ হবে। তাতে শিক্ষকের অভাব মিটবে। পড়াশোনার মানোন্নয়ন হবে।