কল্যাণ হাতে আঘাত পেতেই প্রথম ফোন করেন কে?‌ প্রকাশ্যে সাংসদ আনলেন গোপন কথা

সংসদে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ওয়াকফ সংক্রান্ত বিষয়ে তেতে উঠেছিলেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। রাগের চোটে জোরে রাখেন কাচের জলের বোতল। তখনই বোতল ভেঙে হাত রক্তাক্ত হয় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ইন্ডিয়া জোটের বাকি শরিকরা কল্যাণের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। তার পর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। এই ঘটনার পরে আহত তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের কাছে একটা ফোন আসে। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চান তিনি? প্রথম কে ফোন করেন কল্যাণকে? হুগলির সভা থেকে সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন বিশিষ্ট আইনজীবী–সাংসদ।বিজেপি তখন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরানোর জন্য নানা ফন্দিফিকির করছে। এই আবহে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। সংবাদমাধ্যমে তখন এই ঘটনার খবর সম্প্রচার হচ্ছিল। এমন এক আবহে নয়াদিল্লির বাসভবনে একা ছিলেন কল্যাণ। তখনই বেজে উঠল ফোন। এই ফোনের বিষয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর চোট লাগার খবর সংবাদমাধ্যম দেখাতেই ফোন আসে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই ঘটনা এতদিন পর্যন্ত কেউ জানতেনই না। সেটা খোলসা করলেন সাংসদ–আইনজীবী। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।আরও পড়ুন: ছিনতাইবাজই আসলে ডাকাত! শহরে গাড়ি চালাত, তদন্তে নেমে হতবাক সিঁথি থানার পুলিশকল্যাণের এই কথা শোনার পর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এই ফোন যদি সত্যিই এসে থাকে তাহলে তা এসেছিল বিদেশ থেকে। কারণ চোখের চিকিৎসা করাতে বিদেশে গিয়েছিলেন অভিষেক। একদিন আগেই ফিরেছেন দেশে। আর শনিবার হুগলি জেলার রিষড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কল্যাণ বলেন, ‘পাঁচখানা সেলাই আমার হাতে পড়েছে। রক্তে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। প্রথম ফোনটা আমি যাঁর কাছ থেকে পাই, তিনি জিজ্ঞাসা করেন, কেমন আছো তুমি। তাঁর নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতা এখান থেকেই তৈরি হয়। হৃদয়ের মধ্যে থাকবে। আমি হুগলি সংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরিন্দম গুঁইনকে বলেছি আর কিছুদিন যাক, অভিষেক ফিরেছে। ওঁর শরীরটা একটু ভাল হোক। তারপর আমরা সবাই মিলে সেনাপতির সঙ্গে বড় মিটিং করব।’কিন্তু কেন এই বড় মিটিং করা হবে? জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংগঠনের নেতা। তার উপর সাংসদদের নিয়ে তিনিই পরিকল্পনা করেন। কল্যাণের সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা তিনি অভিষেককে জানাবেন। আর বিজেপির সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করবেন। তার উপর ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে বিজেপিকে চেপে ধরার পরিকল্পনা করা হবে। একই সঙ্গে শীতকালীন অধিবেশনে যেন কল্যাণের বিষয়টি তোলা হয় তাও জানানো হবে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘কারও চোখরাঙানি সহ্য করবেন না। সিপিএম বলে কিছু নেই। কী এমন আন্দোলন তার জন্য পাঁচ কোটি টাকা তুলতে হল। আমরাও অনেক আন্দোলন করেছি। আন্দোলন করেছি বলেই আমরা ৩৪ বছরের সিপিএমকে ধূলিসাৎ করতে পেরেছি।’