তৃণমূল কংগ্রেস খুব শীঘ্রই দলের অন্দরে ব্যাপক রদবদল করতে চাইছে। সে কথা নিজে মুখে বারবার বলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে সিলমোহর দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। যার সাক্ষী দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এই রদবদলের আগেই নিজের পিঠ চাপড়ে হুঙ্কার দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব পেতে চান তিনি। ২০২৬ সালেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তাই জানুয়ারি মাসেই সংগঠনে রদবদল করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। এই রদবদলের আঁচ পেয়েই এবার নিজের হয়ে ব্যাট ধরা শুরু করলেন হুমায়ুন।
এদিকে আগে বারবার নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন হুমায়ুন কবীর। এমনকী তার জন্য শোকজ পর্যন্ত করা হয়েছিল হুমায়ুন কবীরকে। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ঢুকে ধমক খেয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও নিজেকে পরিবর্তন করেননি হুমায়ুন বলে অভিযোগ। এবার ভরতপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, ‘নেতৃত্ব চাইলে আমাকে সংগঠন কিংবা প্রশাসনের দায়িত্বে আনতে পারে। তাতে উপকৃত হবেন জেলার মানুষই। শাওনি–আবু তাহেরের কাছ থেকে আমি কম কীসের? আগামীদিনে দলের স্বার্থে নেতৃত্ব আমাকে যে অবস্থায় যেখানে কাজ করতে দেবেন, আমি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ববান হিসাবে করে যাব।’
আরও পড়ুন: আবার শুভেন্দুর খাসতালুকে গোহারা বিজেপি, ভগবানপুর সমবায় নির্বাচনে বড় জয় তৃণমূলের
অন্যদিকে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের জেলার এখনের নেতৃত্বের সঙ্গে নিজের তুলনা টেনে হুমায়ুন কবীর রাজ্য–রাজনীতি সরগরম করে তুললেন। এই নিয়ে সুদূরপ্রসারি প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। হুমায়ুনের বক্তব্য, ‘শাওনি সিংহরায় কিংবা আবু তাহেরের থেকে আমি কম কীসে? যদি প্রশাসনে থাকা যায় তাহলে জেলার মানুষ অনেকটা উপকৃত হয়। আর সংগঠনের যদি দায়িত্ব দেন, তাহলে মাথা পেতে নেব। আমার আগে এখানে যাঁরা সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেছেন, আবু তাহের খান, শাওনি সিংহরায় এখন যিনি করছেন, তাঁদের থেকে আমার অভিজ্ঞতা কোনও অংশে কম নয়। সেটা যদি দল মনে করে এবং আমাকে দায়িত্ব দেয় তাহলে দল উপকৃত হবে।’