হিন্দু বিরোধী হিংসা কবলিত বেলডাঙায় যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বুধবার বেলডাঙা যাওয়ার পথে কৃষ্ণনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বাধা দেয় পুলিশ। এর পর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থানে বসেছেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, বেলডাঙায় ঢুতে না দিলেও বহরমপুর যেতে দিতে হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন - আরজি কর কাণ্ডে নয়া সূত্রের খোঁজে CBI, তলব এক পুলিশ অফিসারকে, তদন্ত এবার কোন পথে?
পড়তে থাকুন - কসবা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়, সুশান্ত 'খুনের ছক' কষেছিল জেল ফেরত এক খুনের আসামি!
কার্তিক পুজোর আলোকসজ্জায় আপত্তিকর শব্দ লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বেলডাঙায় হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ। হিন্দুদের ঘরবাড়ি, দোকান ভাঙচুর ও লুঠপাট হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙচুর হয়েছে হিন্দু মন্দিরও। আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে বুধবার বেলডাঙার উদ্দেশে রওনা দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কর্মসূচির খবর পেয়ে সকাল থেকেই জাতীয় সড়কের ওপর ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। সুকান্তবাবু পৌঁছলে পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে বাধা দেন। এর পরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। তাঁকে যেতে দেওয়ার দাবিতে ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থানে বসে পড়েন সুকান্তবাবু।
আরও পড়ুন - ‘হিন্দুরা সংখ্যায় কম হলে কী হতে পারে তার বেলডাঙা তার প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ’
সংবাদমাধ্যমকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেছেন, ‘আমি বেলডাঙায় আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলাম। আমাকে পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকেছে। বলছে ১৪৪ ধারা আছে। সে তো এখান থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে। আমাকে বহরমপুর যেতে দেওয়া হোক। সেখানে আমি জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে চাই। প্রতি রাতে আমাদের কাছে ফোন আসছে। আমরা বুঝতে পারছি বেলডাঙার হিন্দুরা কী রকম আতঙ্কে রয়েছেন।’ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অবস্থানে বসে রয়েছেন সুকান্তবাবু।