এবার খাদ্য এবং পানীয়তে ভেজাল ঠেকাতে বড় উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। ভেজাল খেয়ে মানুষ যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে তার জন্য কড়া নজরদারি চালাবে রাজ্য সরকার। সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তোলা এবং ভেজাল নিয়ে সচেতনতা প্রচারও করবে রাজ্য সরকার। তার জন্য প্রত্যেকটি জেলায় খাদ্য পরীক্ষাগার গড়ে তোলা থেকে শুরু করে ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগারগুলিকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই বিষয়ে গতকাল নবান্নে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে ‘স্টেট লেভেল অ্যাডভাইজারি কমিটি অন ফুড সেফটি’র বৈঠক হয়। খাদ্যের গুণমানের নিরিখে বাংলা এখন দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য বাংলাকে দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়া। তাই এমন উদ্যোগ।
নবান্ন সূত্রে খবর, কড়া নজরদারি দিয়ে কাজ শুরু হবে। কারণ নানা জেলা থেকে খবর আসে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কলকাতা শহরে এই গুনমান পরীক্ষা বারবার হয়েছে। কলকাতা পুরসভা–সহ ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্ট এই কাজ করে থাকে। সেখানে জেলায় জেলায় এই কাজ অনেক কম হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই খাবার এবং পানীয়ের গুণমানে কোনওরকম আপস না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নজরদারি করবে রাজ্য সরকার। আর তাই দ্রুত ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারগুলিকে আরও গতিশীল করা হবে। তার সঙ্গে রাজ্য সরকারের হাতে ল্যাবরেটরি অন হুইল বা ভ্রাম্য্মান পরীক্ষাগার রয়েছে ৩০টি। তা পথে নামিয়ে পরীক্ষা করা হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গ–বিজেপির নেতারা নয়াদিল্লি যাচ্ছেন, ভূতুড়ে ভোটার কাণ্ডে নির্বাচন কমিশনে তথ্য জানতে
এখন গরমকাল পড়ে গিয়েছে। তাই পথে কাটা ফল থেকে শুরু করে পানীয়ের পসরা সাজিয়ে অনেকে বসেন। সেখানের খাবারের মান কেমন অথবা পানীয়ের মান কেমন সেটা যাচাই করে দেখা হবে। যাতে কেউ তা খেয়ে অসুস্থ না হয়ে পড়েন। স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে প্রাণী সম্পদ বিকাশ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর নিজেদের পরীক্ষাগার ব্যবহার করবে। আর ওই পরীক্ষাগারে খাবার এবং পানীয়ের পরীক্ষা করা হবে। খাদ্যের গুণগত মান সম্পর্কে সচেতনতা প্রচারও করা হবে। অনলাইনে যেখান থেকে খাবার আসে সেখানেরও খাবারের গুণমান মান পরীক্ষা করা হবে।