হাইকোর্টের নির্দেশে বেআইনি তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙতে বাধ্য হল পুরসভা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে বর্ধমান শহরে। বাড়িটিতে যে ভোটের তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরি করা হয়েছিল তা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর।
বর্ধমান শহরের ইছলাবাদে তৃণমূল নেতাদের মদতে বেআইনিভাবে ওই ভবনটি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ভবনটিকে তৃণমূলের পার্টি অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হয় বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভবনটি ভাঙার দাবিতে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট পুরসভাকে ভবনটি ভাঙার নির্দেশ দেয়। আদালতের অনড় অবস্থানের সামনে অবশেষে তৎপর হতে বাধ্য হয় বর্ধমান পুরসভা। শুক্রবার থেকে ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে তারা। ভবনটি সম্পূর্ণ ভাঙতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
ওদিকে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী স্বপন দাস বলছেন, ওটা পার্টি অফিস নয়। তৃণমূলের ছেলেরা এখানে বসতো। ভোটের সময় বাড়িটিকে কয়েকদিন পার্টি অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। তিনি স্বীকার করেছেন, পুকুরের একাংশ ভরাট করে তৈরি হয়েছিল বাড়িটি। তবে আদালতের নির্দেশে বাড়ি ভাঙায় সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বলে রাখি, সম্প্রতি বেআইনি বাড়ি ভাঙা নিয়ে পুরসভাগুলির গড়িমসিতে কড়া মনোভাব দেখিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এইরকম এক মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি বলেন, কী করে কাজ করাতে হয় আমি ভালো করে জানি। দরকারে আধাসেনা মোতায়েন করে বাড়ি ভাঙব।